বিমানবন্দরে ‘বডি-স্ক্যানার’ বসানোর কথা ভাবছে ইউরোপ
২১ জানুয়ারি ২০১০আপাতদৃষ্টিতে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা সত্ত্বেও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বিমানবন্দরে ও বিমানের মধ্যে গাফিলতির একের পর এক ঘটনার কথা জানা যাচ্ছে৷ গত বছরের ডিসেম্বর মাসে আমস্টারডাম থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেট্রয়েটগামী এক বিমানে মারাত্মক এক সন্ত্রাসী হামলার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলেও গোটা নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে নানা প্রশ্ন আবার নতুন করে উঠে এসেছে৷ এই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতেই স্পেনের টোলেডো শহরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী পর্যায়ের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হল৷ তাতে স্থির হয়েছে, যে ই.ইউ. থেকে আমেরিকাগামী যাত্রীদের সম্পর্কে আরও তথ্য যাত্রার আগেই মার্কিন কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিতে হবে৷ বিমানে পুলিশ মোতায়েন করার বিষয়েও ভাবনা-চিন্তা চলছে৷
ইউরোপীয় ইউনিয়ন বর্তমানেও মার্কিন কর্তৃপক্ষের কাছে যাত্রীদের সম্পর্কে অনেক তথ্য আগাম পাঠিয়ে থাকে৷ তাছাড়া বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক রুটের বিমানে স্কাই মার্শাল থাকেন৷ কিন্তু ইউরোপের মধ্যে বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে এমন কোন নির্দিষ্ট ব্যবস্থা চালু নেই৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিচার বিষয়ক কমিশনর জাক বারো বলেন, যাত্রীবাহী বিমানে পুলিশ মোতায়েন করার বিষয়ে ভাবনা-চিন্তা চলছে৷ ই.ইউ.-র বর্তমান সভাপতি দেশ স্পেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলফ্রেদো পেরেস রুবারকাবা জানিয়েছেন, যে ইউরোপের বিমানযাত্রীদের নামের এক তথ্যভান্ডার গড়ে তোলার বিষয়ে ঐক্যমত অর্জিত হয়েছে৷ পিএনআর নামের এই ব্যবস্থার আওতায় বিমান সংস্থাগুলি যাত্রীদের সম্পর্কে তথ্যের আদান-প্রদান করতে পারে৷ এই মুহূর্তে শুধু আমেরিকাগামী যাত্রীদের জন্য এমন এক তথ্যভান্ডার চালু রয়েছে৷
মার্কিন কর্তৃপক্ষ ইউরোপের বিমানবন্দরগুলিতে যাত্রীদের শরীরের তল্লাশির জন্য ‘বডি স্ক্যানার' বসানোর যে অনুরোধ জানিয়েছে, যাত্রীদের শরীর ও স্বাস্থ্যের উপর ঐ স্ক্যানের প্রভাব সম্পর্কে পরীক্ষা চালানোর কাজ শেষ হলে ই.ইউ. সেবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে৷ মার্কিন অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা মন্ত্রী জ্যানেট ন্যাপোলিটানো জানিয়েছেন, যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিমানবন্দরে ইতিমধ্যে ৪০টি ‘বডি স্ক্যানার' বসানো হয়েছে এবং এক বছরের মধ্যে কমপক্ষে ৪৫০টি এমন যন্ত্র বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে৷ উল্লেখ্য, ‘বডি স্ক্যানার'এর পর্দায় পোশাক ভেদ করে শরীরের বিভিন্ন অংশ দেখা যায় বলে বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক চলছে৷
প্রতিবেদক: সঞ্জীব বর্মন, সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক