বিমান দুর্ঘটনা, না হত্যাকাণ্ড!
১৭ জুলাই ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রুশ সীমান্তের কাছে বিধ্বস্ত হয় মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৭৭-এর এমএইচ১৭ বিমানটি৷ এতে ২৯৮ আরোহীর সবাই নিহত হন৷ ধারণা করা হচ্ছে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বিমানটিকে ভূপাতিত করা হয়েছে৷
নিহত সব আরোহী
১৭ জুলাই রুশ সীমান্তের কাছে একটি গ্রামে বিধ্বস্ত হয় মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৭৭-এর এমএইচ১৭ বিমান৷ এতে ২৯৮ আরোহীর সবাই নিহত হন৷
চলছে উদ্ধার কাজ
রুশপন্থিরা রবিবার থেকে মৃতদেহগুলো উদ্ধার করে এক জায়গায় নিয়ে রাখা শুরু করে৷ ইউক্রেনের জরুরি বিভাগের কর্মীরা জানিয়েছেন, সোমবার ভোরে আরো ২১ আরোহীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়৷ ফলে উদ্ধার হওয়া মৃতদেহের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৫১’তে৷
তদন্তকারীদের প্রবেশ নিষেধ
আন্তর্জাতিক তদন্ত সংস্থার কর্মীদের দুর্ঘটনাস্থলের শুধুমাত্র নির্দিষ্ট এলাকা পর্যন্ত যেতে দেয়া হচ্ছে৷ সব স্থানে প্রবেশের অনুমতি তাঁরা পাচ্ছেন না৷
লাশবাহী ট্রেন
রুশপন্থিরা মৃতদেহগুলোকে আপাতত একটি ট্রেনে রেখেছে৷ ঐ ট্রেনের চারটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বগিতে আছে লাশগুলো৷
দেহাবশেষ
এখনো মৃতদেহ উদ্ধার চলছে৷ কিছু কিছু মৃতদেহ চেনার উপায় নেই৷ আছে কেবল দেহাবশেষ৷
দুপক্ষের অভিযোগ
ইউক্রেনের দাবি, তাদের দেশে থাকা রুশপন্থিরাই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে বিমানটি বিধ্বস্ত করেছে৷ তবে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, রাশিয়া এর সাথে জড়িত নয়৷
অভিযোগ ‘বুক’ এর দিকে
বিশেষজ্ঞদের দাবি, ‘বুক’ নামে পরিচিত ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতের প্রতিক্রিয়া এতই ভয়াবহ ছিল যে, যাত্রীরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই বিমানটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়৷ ক্ষেপণাস্ত্রটি ভূমি থেকে ৭২ হাজার ফুট উচ্চতার লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম৷ আর মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের বিমানটি উড়ছিল ৩৩ হাজার ফুট উচ্চতায়৷
বেঁচে গেল এয়ার ইন্ডিয়া
মাত্র ৯০ সেকেন্ড৷ এই সময়টাই বাঁচিয়ে দিল এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানকে৷ পূর্ব ইউক্রেনে মিসাইল হামলায় বিধ্বস্ত মালয়েশিয়ার বিমানটির মতোই পরিণতি হতে পারতো দিল্লি থেকে বার্মিংহামগামী বিমানটির৷ মালয়েশিয়ার বিমানটি যখন বিধ্বস্ত হয় তখন এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি ছিল মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরে৷
শোকে স্তব্ধ নেদারল্যান্ডস
বিমানটিতে ১৫৭ জন যাত্রী ছিল নেদারল্যান্ডসের৷ তাই শোকে স্তব্ধ দেশটি৷
দেশে দেশে শোক
এছাড়া মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশে চলছে শোক৷