বিভিন্ন জেলায় বিএনপি-আওয়ামী লীগ সংঘর্ষ
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩শনিবার দেশের ভোলা, জামালপুর, গাজীপুর, নাটোরসহ বেশ কয়েক জায়গায় সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে৷ জামালপুরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষে পুলিশসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২৮ জন আহত হয়েছেন৷ শনিবার দুপুরে জামালপুর সদর উপজেলার তিতপল্লা ইউনিয়নের কামালখান বাজারে এ ঘটনা ঘটে বলে ডেইলি স্টারের এক খবরে বলা হয়৷
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তিতপল্লা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ ও ইউনিয়ন বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি চলাকালে উভয়পক্ষের মধ্যে প্রথমে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে, পরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়৷ এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ শটগানের গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে৷
এদিকে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী বাজারে বিএনপির পদযাত্রায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হামলা এবং আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে৷ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় পাল্টাপাল্টি এ হামলার ঘটনা ঘটে৷
পদযাত্রা থেকে বিএনপি কর্মী জাহিদুল ইসলাম জাহিদ আগ্নেয়াস্ত্র (পিস্তল) উঁচিয়ে হুমকি দিয়েছেন বলে ডেইলি স্টারের কাছে দাবি করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মীরা৷
হামলায় গাজীপুর জেলা বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মাসুদ সরকার, শ্রীপুর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মশিউর রহমানসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নয় নেতাকর্মী আহত হয়েছেন৷ তারা স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন৷
বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের খবরে বলা হয়, সিরাজগঞ্জ সদরে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ এবং বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে৷
শনিবার সকাল ১১টার দিকে সদর উপজেলার কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নের পাইকপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন সদর থানার ওসি হুমায়ুন কবির৷
প্রত্যক্ষদর্শীরা সংবাদমাদ্যমটি জানান, শান্তি সমাবেশের প্রস্তুতির জন্য সকালে পাইকপাড়া মোড়ে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা জমায়েত হন৷ এ সময় পদযাত্রা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছিলেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা৷ পাইকপাড়া মোড়ে উভয় দলের নেতা-কর্মীরা মুখোমুখি হলে তাদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে৷
বিএনপির নির্ধারিত পদযাত্রায় ভোলার বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হামলার অভিযোগ উঠেছে৷ হামলার ঘটনায় বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে৷
গুরুতর আহত আট জনকে ভোলা সদর হাসপাতাল ও দুই জনকে চরফ্যাশন উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ চরফ্যাশনে ওমরপুর ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি হাফেজ বাহালুলকে গুরুতর অবস্থায় বরিশাল পাঠানো হয়েছে৷
তবে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের দাবি, সংঘর্ষের ঘটনায় তাদের কোনো নেতাকর্মী জড়িত নন৷
উল্লেখ্য, নির্বাচনের আগে নেতা-কর্মীদের সক্রিয় করতে নানা ধরনের কমসূচি পালন করছে দেশের বড় দুই রাজনৈতিক দল৷ শনিবার ইউনিয়ন পর্যায়ে আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশ করে৷ আর বিএনপি পালন করে পদযাত্রা৷
আরআর/এফএস (ডেইলি স্টার, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)