1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিপর্যয় হিসেবে চেরনোবিলের পর্যায়ে উঠল ফুকুশিমা

১৩ এপ্রিল ২০১১

মোট যে পরিমাণ তেজস্ক্রিয়তা নির্গত হয়েছে, তার ভিত্তিতেই আণবিক সংকটের আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে ফুকুশিমাকে পাঁচ থেকে সাতে তুললেন জাপান সরকার৷ কিন্তু টোকিও’র এই সর্বাধুনিক পদক্ষেপ সম্পর্কে দেশে-বিদেশে সন্দেহ রয়েছে৷

https://p.dw.com/p/10sBi
চালকবিহীন বিমান থেকে তোলা রিয়্যাক্টরের ছবি (ফুকুশিমা)ছবি: dapd

ফুকুশিমা পারমাণবিক স্থাপনার পরিচালক সংস্থা টেপকো থেকে শুরু করে জাপানের আণবিক কর্তৃপক্ষ এমনকি সরকার অবধি সকলেই এ'পর্যন্ত দেশের জনগণকে পুরো পরিস্থিতিটা কখনো খোলসা করে বলেননি - তা সে তেজস্ক্রিয়তার পরিমাণই হোক, কিংবা স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিপদই হোক, কিংবা ক্ষতিগ্রস্ত আণবিক চুল্লিগুলির কোন পরিধির মধ্যে মানুষজনকে স্থানান্তরিত করা হবে অথবা কেন, যে বিষয়েই হোক না কেন৷ বিদেশের বিশেষজ্ঞরা যখন বলছেন, এই বিপর্যয়ের মাত্রা অনেক বেশী, তখন জাপান সরকার বিপদটাকে ছোট করে দেখিয়েছেন৷ আর এখন যখন জাপান সরকার ফুকুশিমাকে চেরনোবিলের পর্যায়ে তুলতে চাইছেন, তখন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডাবলিউএইচও এবং আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা আইএইএ, উভয়েই বলছে: ১৯৮৬'র চেরনোবিল দুর্ঘটনার সঙ্গে এর কোনো তুলনা হয় না৷ আণবিক চুল্লিগুলির ৩০ কিলোমিটার পরিধির বাইরে জনস্বাস্থ্যের পক্ষে কোনো ঝুঁকি প্রায় নেই বললেই চলে৷

ওদিকে জাপানের প্রধানমন্ত্রী নাওতো কান বলেছেন যে, ফুকুশিমার রিয়্যাক্টরগুলো ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে, তেজস্ক্রিয়তার মাত্রাও কমছে৷ কাজেই নথিপত্রে আণবিক বিপর্যয়ের মাত্রা বাড়ানোটা হয়তো জাপান সরকারের অতি-সাবধানতা৷ কিন্তু সে সাবধানতার মূল কারণ হল সাম্প্রতিক কয়েকটি আফটার-শক বা মূল ভূমিকম্প পরবর্তী ভূকম্পন, যেগুলি জাপানের ঐ উত্তর-পূর্ব অঞ্চলকেই কাঁপিয়ে দিয়েছে এবং ক্ষেত্রবিশেষে রিখটার মানদণ্ডে সাত শক্তি অবধি পৌঁছেছে৷ মঙ্গলবার দুপুরেই একটি ৬ দশমিক তিন শক্তির ভূকম্পন ঐ ফুকুশিমা প্রিফেকচারকেই সচকিত করে৷

ফুকুশিমা বিপর্যয় এর আগে ছিল পাঁচ মাত্রার, এবার হল সাত মাত্রার৷ অর্থাৎ ১৯৭৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের থ্রি মাইল আইল্যান্ডের দুর্ঘটনার পরিবর্তে ফুকুশিমাকে চেরনোবিলের পর্যায়ে তোলা হল৷ অথচ চেরনোবিলে রিয়্যাক্টরটি স্রেফ বিস্ফোরিত হয়, ফুকুশিমায় যা হয়নি৷ চেরনোবিলে শুধু সরাসরি তেজস্ক্রিয়তা থেকেই ২৯ জন মানুষ প্রাণ হারায়, দীর্ঘমেয়াদী সূত্রে তো আরো অনেক বেশী৷ ফুকুশিমা থেকে সে-ধরণের কোনো বিপদের কথা এযাবৎ শোনা যায়নি৷ আইএইএ বলছে, চেরনোবিল থেকে তেজস্ক্রিয়তা বিকিরণের পরিমাণও ছিল অনেক বেশী৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: সাগর সরওয়ার