1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ঝাঁকুনি খেল বিজেপিও

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি২৭ আগস্ট ২০১৪

ভারতে বিপুল সংখ্যাগরিষ্টতা নিয়ে কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার মাস তিনেকের মধ্যেই কি মোদী ঢেউ থমকে গেল? চারটি রাজ্যের ১৮টি বিধানসভা আসনের উপ-নির্বাচনে বিজেপি পেয়েছে মোট সর্বমোট ৮টি আসন৷ অন্যদিকে, অ-বিজেপি জোট পেয়েছে ১০টি আসন৷

https://p.dw.com/p/1D1Kj
ছবি: Reuters

গত সংসদীয় নির্বাচনে বিজেপি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্টতা নিয়ে দিল্লির মসনদ দখল করে৷ কিন্তু এ ঘটনার ১০০ দিনের মাথায় বিহার, মধ্যপ্রদেশ, কর্নাটক ও পাঞ্জাবে মোট ১৮টি বিধানসভা আসনে উপ-নির্বাচনের ফলাফল বিজেপিকে সতর্ক হবার বার্তা দিয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই৷

ভারতে মোদী-ঢেউ এরই মধ্যে থমকে গেছে – এ কথা বলা না গেলেও, অ-বিজেপি জোট বিজেপির দাপট সামান্য হলেও যে রুখে দিতে সক্ষম হয়েছে, তাতে সন্দেহ নেই৷ বিহারের ১০টি আসনের ফলাফল এক্ষেত্রে উল্লেখ্য৷ রাজ্যে গত লোকসভা ভোটে ৪০টি আসনের মধ্যে বিজেপি জোট যেখানে পেয়েছিল ৩১টি আসন, সেখানে বিজেপির ভোট-ব্যাংক কমে যাবার কারণ কী? কারণ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী শাসক দল নীতীশ কুমারের জেডি-ইউ, লালু প্রসাদের আরজেডি এবং কংগ্রেসের মহাজোট বিজেপির বিজয় রথের গতি থামাতে সব শত্রুতা ভুলে গলা জড়াজড়ি করে উপ-নির্বাচনের ময়দানে দু'দশক পর নামে শুধু জল মাপতে৷ দেখা গেল, তাদের রাজনৈতিক সমীকরণ সন্তোষজনক হয়েছে৷ ১০টি আসনের মধ্যে ছয়টিতে জিতেছে তারা৷ অর্থাৎ হারানো জমি কিছুটা হলেও উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে৷ জেডি-ইউ এবং আরজেডি নেতারা তাঁদের চিরাচরিত যাদব, দলিত, মুসলিম ও অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির ভোট-ব্যাংক নিজেদের দিকে টানতে সফল হয়েছে৷

Indien traditionelles Kleidungsstück Dhoti
ছবি: AFP/Getty Images

মহাজোটের নেতাদের মতে, মোদীর ‘বিভেদকামী সাম্প্রদায়িক রাজনীতি' থেকে মুখ ঘোরাতে শুরু করেছে দেশের মানুষ৷ কথা হলো, তিন মাসের মধ্যে এমন কী ঘটলো যে বিজেপির গতি মন্থর হয়ে গেল? বিজেপির রাজ্য নেতারা মনে করেন, বিহারে জাত-পাতের রাজনীতিই এর কারণ৷ দ্বিতীয়ত, রাজ্যের স্থানীয় ইস্যু এবং জাতীয় ইস্যু আলাদা৷ স্থানীয় ইস্যুতে মোদী ফ্যাক্টর কাজ করেনি৷ ২০১৪ সালের সংসদীয় ভোটের পর গত জুলাই মাসে হিমালয় রাজ্য উত্তরাখন্ডে বিধানসভার তিনটি আসনের উপ-নির্বাচনে সব কটি আসনই হাতছাড়া হয় বিজেপির৷ অথচ সংসদীয় ভোটে রাজ্যের পাঁচটি আসনই পেয়েছিল বিজেপি-জোট৷

উপ-নির্বাচনে নীতীশ-লালু প্রসাদের জোটের সাফল্যে উৎসাহিত হয়ে বিজেপির বিকল্প শক্তি হিসেবে অন্যান্য দলগুলিও এগিয়ে আসতে পারে৷ উত্তর প্রদেশে মুলায়েম সিং-এর সমাজবাদী পার্টি এবং মায়াবতির বহুজন সমাজ পার্টি হাত মেলাতে পারে৷

তবে মোদীর ঝড় একেবারে থেমে গেছে – এ কথা বলার সময় এখনো আসেনি৷ আগামী কয়েক মাসের মধ্যে হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র, ঝাড়কন্ড ও জম্মু-কাশ্মীর – এই চারটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন৷ এছাড়া বিহার বিধানসভার ভোট ২০১৫ সালে৷ সেটা হবে বিজেপি সরকারের আর একটা বড় পরীক্ষা৷ বলা বাহুল্য, দলের নতুন সভাপতি অমিত শাহের ম্যাজিক কতটা কাজ করে, এবার সেটাই দেখার৷

বিজেপিকে অবশ্য মনে রাখতে হবে আত্মসন্তুষ্টির কোনো অবকাশ নেই৷ কারণ মোদী সরকারকে এখনও কাজ করে দেখাতে হবে সুশাসন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য