বাংলাদেশে ঘরোয়া ফুটবল
৯ অক্টোবর ২০১২দ্বিতীয় দফা বাফুফে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন কাজী সালাউদ্দিন৷ প্রথম দফার শুরুটা হয়েছিল চমক দিয়ে৷ খেলোয়াড়ি জীবনে স্ট্রাইকার সালাউদ্দিন যেমন চমকে দিতেন হঠাৎ অবিশ্বাস্য সব গোল করে, ঠিক সেভাবেই চমকে দিয়েছিলেন কোটি টাকার এক ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করে৷ সে আসর দিয়ে গ্যালারিতে দর্শক ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা দেখেছিল বাংলাদেশের ফুটবল৷ যতটা আশা ছিল তার সামান্যই অবশ্য বাস্তবে দেখা গেছে পরে৷ ফুটবল এক অর্থে রয়ে গেছে যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই৷ এখনো আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচে গ্যালারি থাকে ফাঁকা৷ বড় কোনো তারকা ফুটবলার আসেনি গত কয়েক বছরে৷ বাংলাদেশ জাতীয় দল পায়নি বলার মতো কোনো সাফল্য৷ ফুটবল নিয়ে নতুন কিছু আশা করার সুযোগ কোথায়?
এমন অবস্থায় দাঁড়িয়েও আশার বানী শুনিয়ে আসছেন কাজী সালাউদ্দিন৷ প্রথম দফা বাফুফে সভাপতি হয়েই বলেছিলেন, ফুটবলকে সারা দেশে ছড়িয়ে দিলেই কেবল অবস্থা বদলানো সম্ভব এবং সেই কাজটি তিনি করবেন৷ শুরুর কয়েক বছরে যে সেটা সম্ভব হয়ে ওঠেনি তা অস্বীকার করার জো নেই৷ সালাউদ্দীন তা করছেনও না৷ ডয়চে ভেলেকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বরং সেই পথে যাত্রাটা এ মৌসুমে কীভাবে শুরু করেছেন এবং ভবিষ্যতে কী কী হতে চলেছে, এ সম্পর্কেই বললেন বিশদভাবে৷ উঠেছিল পাতানো ম্যাচ প্রসঙ্গ৷ বাফুফে সভাপতির দাবি, এ ব্যাপারটিতে তাঁর কমিটি ‘‘জিরো টলারেন্স'' দেখিয়েছে এবং ম্যাচ পাতানোও কমতে কমতে এখন প্রায় শেষ হওয়ার পথে৷ কথা হয়েছে ঘরোয়া লিগে ছোট-বড় সব দলে বিদেশি ফুটবলার খেলানোর ক্ষতির দিক নিয়েও৷ সবগুলো দল বিদেশি ফুটবলার খেলায় বলে দেশের নতুন ফুটবলাররা সেভাবে খেলার সুযোগ পায়না, সুযোগ পায়না বলে তাঁরা নিজেদের প্রমাণ করে উঠে আসতে পারছে না, পরিণামে দেশে আরো প্রকট হয়ে উঠছে খেলোয়াড়-সংকট – এমন সমালোচনার জবাবে সালাউদ্দিন তুলে আনলেন স্প্যানিশ লিগ প্রসঙ্গ৷ সেখানে বার্সেলোনা আর রিয়াল মাদ্রিদে বিদেশি ফুটবলারদের আধিক্যের কথা উল্লেখ করে বাফুফে সভাপতি বললেন, ‘‘ভালো ফুটবলার হতে হলে বিদেশিদের সঙ্গে লড়েই উঠে আসতে হবে৷''
সাক্ষাৎকার: আশীষ চক্রবর্ত্তী
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ