বিজেপির একতা যাত্রা ঘিরে ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে উত্তেজনা
২৫ জানুয়ারি ২০১১কিন্তু রাজ্যে এই নিয়ে আবার উত্তেজনা দেখা দেবার আশঙ্কায় রাজ্যে তাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়৷ এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিজেপি সমর্থকরা যাতে রাজ্যে ঢুকতে না পারে তার জন্য কাশ্মীর-পাঞ্জাব সীমান্তে অভূতপূর্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা৷ জম্মু-পাঞ্জাব সীমান্তে ৭ হাজার নিরাপত্তা বাহিনী, জল-কামান, সংঘর্ষ প্রতিরোধক বাহন, কাঁদানে গ্যাস নিয়ে তৈরি৷ রাজ্যে ঢোকার চেষ্টা করায় আজ গ্রেপ্তার করা হয় ৪০০ বিজেপি সমর্থককে৷ গতকাল করা হয়েছিল ১,৩০০ জনকে৷ সীল করা হয় জাতীয় রাজপথ , জম্মু-শ্রীনগর রাজপথে নিয়ন্ত্রিত করা হয় যানবাহন চলাচল৷ রাজ্যের স্কুল কলেজ বন্ধ৷ শ্রীনগরে অঘোষিত কারফিউ৷ জারি ১৪৪ ধারা৷ বিজেপি যেমন শ্রীনগরে জাতীয় পতাকা তুলতে দৃঢ়সঙ্কল্প, তেমনি কাশ্মীর সরকার তা প্রতিরোধে মরিয়া৷ কারণ বিজেপিকে বাধা দিতে বিচ্ছিন্নতাবাদী জম্মু-কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্ট পাল্টা মিছিল করার হুমকি দিয়েছে৷ সেক্ষেত্রে রাজ্য জুড়ে আবার দেখা দিতে পারে সহিংসতা৷
বিজেপি নেতা-কর্মীরা প্রতিবাদ সভা করে রাজ্যের সীমান্তে মাধোপুরায়৷ সভায় শীর্ষ বিজেপি নেতা অরুণ জেটলি বলেন, বিচ্ছিন্নতাবাদীরা খোদ দিল্লির বুকে সভা করলে দোষ হয় না, কিন্তু প্রজাতন্ত্র দিবসে কাশ্মীরে জাতীয় পতাকা তোলাটা সরকারের চোখে অপরাধ৷ এর প্রতিবাদে দিল্লির রাজঘাটে অনশনে রয়েছেন পূর্বতন বিজেপি সভাপতি রাজনাথ সিং৷ তাঁর অভিযোগ, দুর্নীতি থেকে দৃষ্টি সরাতে সরকার এই পন্থা নিয়েছে৷ তাই দল স্থির করেছে প্রতিবাদ অভিযান ছড়িয়ে দেয়া হবে দেশের প্রতিটি জেলায়৷
এর আগে প্রধানমন্ত্রী ড: মনমোহন সিং এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি.চিদাম্বরম এই যাত্রা বাতিল করার অনুরোধ করেন বিজেপি'র শীর্ষ নেতৃত্বকে৷ কাশ্মীরের স্পর্শকাতরতার কথা মাথায় রেখে প্রজাতন্ত্র দিবসে সম্প্রীতি বজায় রাখার আবেদন জানানো হয়৷ বিজেপি নেতৃত্বের প্রশ্ন: জাতীয় পতাকা তোলাটা কীভাবে সাম্প্রদায়িক বা বিভাজনমূলক রাজনীতি হতে পারে?
মোট কথা, বিজেপির একতা যাত্রা ঘিরে কাশ্মীর রাজনীতির উত্তাপ বাড়ার পাশাপাশি চিন্তা বাড়ছে মনমোহন সিং সরকারের৷
প্রতিবেদন : অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি
সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী