বিক্ষোভে উত্তাল কাশ্মীর
১১ জুলাই ২০১৬শুক্রবার পুলিশের অভিযানে হিজবুত মুজাহিদিনের নেতা বুরহান ওয়ানিসহ তিন জন মারা যান৷ পুলিশের দাবি, জঙ্গি বুরহান তখন বড় রকমের নাশকতামূলক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন৷ ২২ বছর বয়সি বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর খবরে কাশ্মীরে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে৷ বিক্ষুব্ধরা রাস্তায় নেমে আসে৷ পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তারা৷ পুলিশের গুলিতে এ পর্যন্ত অন্ততপক্ষে ২২ জন বিক্ষোভকারী মারা গেছে বলে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে৷
এছাড়া অন্তত একজন পুলিশ কর্মকর্তাও নিহত হয়েছেন৷ আহতের সংখ্যাও ৩০০ ছাড়িয়েছে, যার মধ্যে অন্তত একশজন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য বলে জানা গেছে৷
২০১০ সালের পর কাশ্মীরের সবচেয়ে বড় এই বিক্ষোভ থামাতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি রোববার মন্ত্রীপরিষদের সভা আহ্বান করেন৷ সব বিরোধী দল এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের প্রতিও পরিস্থিতি শান্ত করতে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি৷ এ সময় পুলিশ বিনা উসকানিতে কোথাও সাধারণ মানুষের ওপর গুলি চালিয়েছে কিনা – তা তদন্ত করে দেখারও আশ্বাস দেন মেহবুবা মুফতি৷
এদিকে শুক্রবার থেকে কাশ্মীরের ১০টি জেলাতেই কারফিউ জারি করা হয়েছে৷ বিক্ষুব্ধরা কারফিউ লঙ্ঘন করেই রাস্তায় নেমে আসে৷ বিক্ষোভের সময় অন্তত চারটি পুলিশ স্টেশনে আগুন দিয়েছে তারা৷
শুক্রবার থেকেই কাশ্মীরের প্রায় সব দোকানপাট বন্ধ৷ ট্রেন চলাচলও বন্ধ রয়েছে সেখানে৷ ফলে অন্তত ১৫ হাজার হিন্দু তীর্থযাত্রী অমরনাথ যাত্রায় যেতে পারছেন না৷ এছাড়া কাশ্মীরের অনেক জায়গায় ইন্টারনেট সংযোগও বিচ্ছিন্ন৷
এসিবি, ডিজি (এএফপি, এনডিটিভি)