বিএনপির রংপুরে গণসমাবেশের আগেও বাস ধর্মঘট
২৮ অক্টোবর ২০২২শুক্রবার সকালে রাজশাহী সড়ক পরিবহণ গ্রুপের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মতিউল হক সাংবাদিকদের জানান, রংপুরে অভ্যন্তরীণ কারণে দুইদিনের পরিবহন ধর্মঘটডাকা হয়েছে৷ সেখানে কোনো বাস চলবে না ৷ অন্য কোনো জেলা থেকেও সেখানে বাস যাবে না৷ তিনি আরো দাবি করেন, ‘‘রংপুর বাস মালিকদের পক্ষ থেকে রাজশাহী থেকেও বাস না পাঠানোর জন্য বলেছে৷ এ কারণে রাজশাহী-রংপুর বাস চলাচল দুইদিন বন্ধ রাখা হবে৷”
মহাসড়কে অবৈধ যানচলাচল বন্ধসহ কয়েকটি দাবিতে শুক্রবার সকাল থেকে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার সব রুটে বাস চলাচল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে রংপুর জেলা বাস মালিক সমিতি৷
তবে বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ,এই ধর্মঘট নগরীর কালেক্টর মাঠের শনিবারের গণসমাবেশকে উদ্দেশ্য করেই৷
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজশাহী থেকে সবশেষ বাস রংপুরের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে শুক্র ও শনিবার আর কোনো বাস ছাড়বে না বলে জানিয়েছেন পরিবহন নেতারা৷
জ্বালানি তেল, চাল-ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, নেতা-কর্মীদের হত্যা, হামলা ও মামলার প্রতিবাদে এবং দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে সারাদেশের আট বিভাগীয় শহরে গণসমাবেশের ডাক দেয় বিএনপি৷ এর মধ্যে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও খুলনায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে৷
এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার রংপুরে এবং আগামী ৫ নভেম্বর বরিশালে সমাবেশ ডেকেছে বিএনপি৷ রংপুরের মতো গণসমাবেশের একদিন আগ থেকে বরিশাল নগরীর কেন্দ্রীয় নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লা ও অভ্যন্তরীণ পথের সব বাস চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে৷
গত ২২ অক্টোবর খুলনার বিভাগীয় গণসমাবেশের আগেও সেখানকার পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা একই দাবিতে বাস ধর্মঘটের ডাক দেন৷ এতে দুদিন ধরে বাস বন্ধ থাকায় গণসমাবেশমুখী নেতাকর্মীদের পাশাপাশি চাকরিজীবী, চাকরিপ্রার্থী ও সাধারণ মানুষকে ভোগান্তির শিকার হতে হয় ৷ ১৫ অক্টোবরের ময়মনসিংহের বিভাগীয় গণসমাবেশের আগেও পরিবহন মালিক সমিতির ডাকে বাস ধর্মঘট হয়েছিল৷
বিএনপি একে ক্ষমতাসীন দলের ‘ষড়যন্ত্র' বলে অভিযোগ করলেও আওয়ামীলীগের দাবি, তারা রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী৷
অপরদিকে পরিবহন মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়ন দাবি করে, তাদের ডাকা ধর্মঘটের সঙ্গে বিএনপির গণসমাবেশের কোনো সম্পর্ক নেই৷
রংপুরে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের আগে দুইদিনের বাস ধর্মঘট শুরু হওয়ায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ যাত্রী ও ব্যবসায়ীরা
শুক্রবার সকাল ১০টায় রংপুর বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা যায়, যাত্রীরা বাসের জন্য এসে বসে আছেন৷ কিন্তু কোনো পরিবহন নেই৷ সব বাস কাউন্টার বন্ধ ৷ ব্যাগসহ অন্যান্য মালামাল নিয়ে আবার তারা ফিরে যাচ্ছেন ৷ কেউ-বা বিকল্প যানের সন্ধান করছেন৷
এনএস/এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)