1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিএনপির পদযাত্রা: ঢাকায় সংঘর্ষ, রাজশাহীতে পণ্ড

২৩ মে ২০২৩

সরকারের পদত্যাগসহ নানা দাবিতে দেশব্যাপী পদযাত্রা কর্মসূচি পালিত হয়েছে। ঢাকায় ধানমন্ডিতে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

https://p.dw.com/p/4RiDB
বিএনপির সমাবেশ (ফাইল ফটো)
বিএনপির সমাবেশ (ফাইল ফটো)ছবি: Mortuza Rashed/DW

মঙ্গলবার দেশের বিভিন্ন মহানগরে পদযাত্রার ঘোষণা দিয়েছিল বিএনপি। বিএনপির সঙ্গে আন্দোলনে থাকা জোট গণতন্ত্র মঞ্চও পদযাত্রার ঘোষণা দিয়েছিল।

রাজধানীতে পদযাত্রার তিনটি কর্মসূচি পালিত হবার কথা ছিল। ঢাকা দক্ষিণে গণতন্ত্র মঞ্চ একটি পদযাত্রার আয়োজন করে, উত্তর এবং দক্ষিণে বিএনপি আয়োজন করে আরো দুটি পদযাত্রার।

রাজশাহীতে বিএনপির কার্যালয় ঘেরাও করে পুলিশ

রাজশাহীতে পদযাত্রার অনুমতি পায়নি বিএনপি। বেলা ১১টার দিকে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও রাজশাহী নগরের ভুবনমোহন পার্কের নির্ধারিত জায়গায় পৌঁছাতে পারেননি দলটির কোনো নেতা-কর্মী।

১১টা বাজার আগেই পুলিশ নগরের স্বচ্ছ টাওয়ারের মোড় থেকে সোনাদীঘির মোড় পর্যন্ত এলাকায় রিকশা চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। বিএনপির কার্যালয়ের সামনে মোতায়েন করা হয় পুলিশের বিশেষায়িত ক্রাইসিস রেসপন্স টিম- সিআরটি।

রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক ডিকেনকে উদ্ধৃত করে বাংলা ট্রিবিউন জানিয়েছে, পুলিশের বাধায় বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি পালনের কোনও সুযোগ ছিল না।

মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার ওসি সোহরাওয়ার্দী জানান, ''সিটি নির্বাচনের বিধিনিষেধের কারণে সব ধরনের গণজমায়েত নিষিদ্ধ আছে। তাই বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি নগরীতে করতে দেওয়া হবে না।''

রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপকমিশনার রফিকুল আলম বলেন, "পদযাত্রা কর্মসূচি পালনের অনুমতি দেওয়া হয়নি। তবে বেআইনিভাবে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করলে শৃঙ্খলায় ব্যাঘাত ঘটে। এজন্য বিএনপি কার্যালয়সহ নগরীতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।"

ঢাকা দক্ষিণে গণতন্ত্র মঞ্চের পদযাত্রা

সরকারের পদত্যাগ, অন্তর্বর্তী সরকারের অধীন নির্বাচনসহ ১৪ দফা দাবিতে পদযাত্রা শুরুর আগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে  সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে বিএনপির সঙ্গে সরকার পতনের আন্দোলনে থাকা জোট- গণতন্ত্র মঞ্চ। এরপর পদযাত্রা শুরু হয়ে বাহাদুর শাহ পার্কে গিয়ে আরেকটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

সমাবেশ থেকে ভবিষ্যতে আরও কঠোর কর্মসূচি দেয়ার হুঁশিয়ারি দেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ''আওয়ামী লীগ বলেছিল, বিরোধী দলের শক্তি থাকলে মাঠে নামুক। আর যখন তাঁরা মাঠে নেমেছেন, তাতে আওয়ামী লীগের পায়ে কাঁপন ধরে গেছে।''

ধানমন্ডিতে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ

বিকেল পৌনে ৪টার দিকে ঢাকার ধানমন্ডির সায়েন্স ল্যাব এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে পুলিশের দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ।

পুলিশ দ্য ডেইলি স্টারকে জানায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা বিএনপি ওই এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল বের করার পর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকার দুই এলাকায় বিএনপির দুটি পদযাত্রার কর্মসূচি ছিল। একটি ছিল ধানমন্ডিতে, অন্যটি গাবতলী এলাকায়। বিকেল তিনটায় ধানমন্ডির বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সড়কে সমাবেশ শেষে পদযাত্রা শুরু হয়। পদযাত্রা জিগাতলা, সিটি কলেজ হয়ে ল্যাব এইড হাসপাতাল পর্যন্ত গিয়ে শেষ হওয়ার কথা ছিল।

সংঘর্ষের ঘটনার আগ থেকেই ওই এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ ঘটনার জন্য পুলিশ ও বিএনপি নেতারা পরস্পরকে দোষারোপ করছেন। বিএনপির অভিযোগ, তাদের শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা আটকে পুলিশ লাঠিপেটা করলে সংঘর্ষ শুরু হয়। আর পুলিশ বলছে, বিএনপির মিছিল থেকে পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়েছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, "পদযাত্রা নিয়ে তারা সিটি কলেজ এলাকায় যেতেই পুলিশ আটকে দেয়। এক পর্যায়ে পুলিশ নেতাকর্মীদের লাঠিপেটা করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিএনপি কর্মী-সমর্থকেরাও পুলিশকে লক্ষ করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। একপর্যায়ে পুলিশ কাঁদুনে গ্যাসের শেল ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।"

পুলিশের নিউ মার্কেট অঞ্চলের সহকারী কমিশনার শরীফ মোহাম্মদ ফারুকুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, "শান্তিপূর্ণভাবেই পদযাত্রা হচ্ছিল। হঠাৎ করে মিছিল থেকে পুলিশের ওপর হামলা হয়। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য টিয়ারশেল নিক্ষেপসহ যা যা করার আমরা সেটা করেছি।"

জেকে/এডিকে (বাংলা ট্রিবিউন, দ্য ডেইলি স্টার, প্রথম আলো)