মন্ত্রীদের পদত্যাগের নির্দেশ এরশাদের
৪ ডিসেম্বর ২০১৩নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়ার পর প্রায় ২৬ ঘণ্টা অজ্ঞাতস্থানে ছিলেন এইচ এম এরশাদ৷ বুধবার বিকেলে বারিধারার বাসায় ফিরে তিনি ভারতের পররাষ্ট্রসচিব সুজাতা সিং-এর সঙ্গে বৈঠক করেন৷ এরপর অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এরশাদ বলেন, তিনি মন্ত্রিসভা থেকে দলের মন্ত্রীদের পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন৷ তিনি বলেন তাঁর সাফ কথা – সব দলের অংশগ্রহণ ছাড়া তিনি নির্বাচনে যাবেন না৷
এরশাদের এই নির্দেশের পর মন্ত্রীরা পদত্যাগ করবেন কিনা তা জানা যায়নি৷ তবে প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু মঙ্গলবার বলেছিলেন তাঁরা এরশাদের নির্দেশের অপেক্ষায় আছেন৷ নির্দেশ পেলেই তাঁরা মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করবেন৷ পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদের ওপর তাঁদের আস্থা আছে৷ তিনি যা করবেন বুঝেশুনেই করবেন, দলের ভালোর জন্যই করবেন৷
গত ১৮ নভেম্বর নির্বাচনকালীন সরকারের মন্ত্রিসভায় জাতীয় পার্টির নেতারা যোগ দেন৷ তাঁদের মধ্যে মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন রওশন এরশাদ, রহুল আমীন হাওলাদার এবং আনিসুল ইসলাম মাহমুদ৷ প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন সালমা ইসলাম ও মুজিবুল হক চুন্নু৷ এছাড়া জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসেবে যোগ দেন৷ এরশাদ মঙ্গলবার নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়ার পর চারজন মন্ত্রী বুধবার অফিস করেননি৷
এদিকে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিতে বুধবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের নিয়ে গণভবনে জরুরি বৈঠকে বসেছেন৷ এর আগে মঙ্গলবার রাতে শেখ হাসিনা দলের নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে বৈঠক করেন৷ সেই বৈঠকে, পরিস্থিতি যাই হোক ৫ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে মত দিয়েছেন নেতারা৷
মঙ্গলবার রাতে প্রধানমন্ত্রী সেনা প্রধান ও পুলিশ প্রধানের সঙ্গেও বৈঠক করেন৷ প্রধানমন্ত্রী বুধবার তাঁর কার্যালয়ে সেনাবাহিনীর একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় দেশের যে-কোনো পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন৷
এদিকে বিএনপির মুখপাত্র সালাহউদ্দিন আহমদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে পদত্যাগের সময় বেঁধে দিয়েছেন৷ অজ্ঞাতস্থান থেকে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ না করলে আরো কঠোর আন্দোলন শুরু হবে৷ সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন সময় থাকতে সরকারের উচিত হবে পদত্যাগ করে নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি মেনে নেয়া৷ নয়তো যে-কোনো পরিস্থিতির দায় সরকারকেই নিতে হবে বলে জানান তিনি৷