বায়োমাস
১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪প্রায় প্রতিটি রাস্তার কোণেই বায়োমাস পাওয়া যায়৷ হামবুর্গ শহরে প্রায় সবকিছুই পুনর্ব্যবহার করা হয়৷ গাছ কাটার সময় পড়ে থাকা টুকরা এবং শুকনা পাতাকে সার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে৷
গোটা বিশ্বে টন-টন অর্গানিক আবর্জনা রয়েছে, যা ফেলে দেয়া হয়৷ যেমন তালগাছ, যার তেল থেকে মার্জারিন বা ফ্যাট তৈরি হয়৷ পাইটেক কোম্পানির স্টেফান শ্যোল বলেন, ‘‘শুধু এই বীজ কাজে লাগানো হয়৷ বাকি সব কিছু ফেলে দেয়া হয়, এমনকি পাঁচ বছর অন্তর গোটা তালগাছও৷''
হামবুর্গ শহরের পাইটেক কোম্পানি মনে করে, এমন অপচয় সত্যি দুঃখজনক৷ বিশেষ করে গাছ কাটার সময় যে জঞ্জাল সৃষ্টি হয়, বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তা তরলে রূপান্তরিত করা যায়, যাকে ‘পাইরোলিসিস' তেল বলা হয়৷ এক শোধনাগারে সেটিকে জ্বালানিতে রূপান্তরিত করা হয়৷
তেল সরাসরি ব্যবহার করতে পারলে আরও ভালো হতো৷ ঠিক যেখানে বায়োমাস তৈরি হচ্ছে, সেখানেই – মিনি উৎপাদন কেন্দ্র সহ মোবাইল ‘পেট্রোল' পাম্পের মাধ্যমে৷ মার্কিন ইঞ্জিন প্রস্তুতকারক ‘ক্যাটারপিলার'-এর সঙ্গে সহযোগিতায় বিজ্ঞানীরা এমন প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন৷ স্টেফান শ্যোল বলেন, ‘‘এখনো পর্যন্ত আমরা শুধু ১,০০০ ঘণ্টার ‘সার্ভিস লাইফ' পর্যন্ত পৌঁছতে পেরেছি৷ অর্থাৎ বিষয়টা এরকম৷ একটা ইঞ্জিন এক বছর ধরে চললে আটবার ইঞ্জেকশন সিস্টেম বদলাতে হয়৷ ভবিষ্যতে আমরা এমন উপাদান খুঁজে পেতে চাই, সাধারণ ডিজেল দিয়ে চালালেও যা একই সময় নেবে৷''
হামবুর্গের ইউনিভার্সিটি অফ অ্যাপ্লায়েড সায়েন্সেস-এও জঞ্জাল থেকে জ্বালানি তৈরির বিষয়ে গবেষণা চলছে৷ ব্যবহার করা তেল, প্লাস্টিক, হেভি অয়েল – গবেষণাগারে এ সব থেকে তেল তৈরি হচ্ছে৷
কাঁচামালেরও অভাব নেই, তাই দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তিতে পেট্রোলিয়ামের বিকল্প হাতের নাগালেই রয়েছে৷ অধ্যাপক টোমাস ভিলনার বলেন, ‘‘বিশ্বব্যাপী জ্বালানির চাহিদার মাত্রা ১০০ ‘এক্সাজুল'৷ এই চাহিদা বাড়তে না দিলে টেকসই প্রক্রিয়ায় তৈরি বায়োমাস দিয়ে পেট্রোলিয়ামের ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব৷ তবে ভারত ও চীনের মতো দেশে চাহিদা সীমিত রাখতে হবে৷''
উদীয়মান শক্তিধর দেশগুলিতে বেড়ে চলা চাহিদা মেটাতে একটা সমাধানসূত্রের প্রয়োজন রয়েছে৷ নতুন প্রক্রিয়ার বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে৷ বড় আকারে এই প্রক্রিয়া চালিয়ে নিয়মিত উৎপাদন করতে পারলেই এটা সম্ভব৷
বিশেষ ঘোষণা: এই সপ্তাহের অন্বেষণ কুইজে অংশ নিতে ক্লিক করুন এখানে৷