বায়োনটেক প্রতিষ্ঠাতাদের প্রশংসায় ম্যার্কেল
২০ ডিসেম্বর ২০২০গত নভেম্বরে করোনা রোধে ৯৫ ভাগ সাফল্যের দাবি নিয়ে আত্মপ্রকাশ করে বায়োনটেক-ফাইজার ভ্যাকসিন৷ রাতারাতিই বিখ্যাত হয়ে যায় জার্মানির মাইনৎস শহরকেন্দ্রিক এ বায়োনটেক প্রতিষ্ঠান৷
প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা উগুর শাহিন ও ও্যসলেম ট্যুরেচিও তখনই চলে আসেন প্রচারের আলোয়৷ বৃহস্পতিবার শাহিন এবং ট্যুরেচির সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের সময় বায়োনটেকের তুমুল প্রশংসা করেন জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ বায়োনটেকের গবেষকদের প্রশংসায় তিনি বলেন, ‘‘আমাদের দেশে এমন সব গবেষক আছে বলে আমরা ভীষণ গর্বিত৷’’
২০০৮ সালে মাইনৎস শহরে বায়োনটেক প্রতিষ্ঠা করেছিলেন শাহিন এবং ট্যুরেচি দম্পতি৷ তারপর থেকে তিল তিল করে এগিয়ে নিয়েছেন স্বপ্নের এই প্রতিষ্ঠানকে৷ ফাইজারের সঙ্গে যৌথভাবে আবিস্কার করা ভ্যাকসিন বিশ্বের অনেক দেশের মানুষকেই করোনা থেকে বাঁচতে সহায়তা করবে৷
ইতিমধ্যে ব্রিটেন এবং যুক্তরাষ্ট্র বায়োনটেক ভ্যাকসিন দিতে শুরু করেছে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নও খুব তাড়াতাড়িই এই ভ্যাকসিনের প্রতি আস্থা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ অনেক বাধা-বিপত্তি পার করে বায়োনটেকের এই পর্যায়ে আসার প্রশংসা করে জার্মান চ্যান্সেলর বলেন, ‘‘আপনারা হাল ছেড়ে দেননি৷ আপনারা আপনাদের গবেষণার ওপর আস্থা রেখেছিলেন৷ এখন সারা বিশ্বে যতজন মানুষ করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে মারা যাচ্ছে তা দেখেই বোঝা যায় এই টিকা কতজন মানুষকে বাঁচাতে পারবে৷ আপনারা আসলে অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন৷’’
বায়োনটেকের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ট্যুরেচি অবশ্য এর সম্পূর্ণ কৃতিত্ব দিয়েছেন বায়োনটেক এবং ফাইজারের গবেষকদের৷ তার ভাষায় ‘‘আমাদের লক্ষ্য ছিল যা অসম্ভব মনে হচ্ছে সেটাকে সম্ভব করা৷ আমরা সফল হয়েছি, কারণ, আমাদের টিমটা চমৎকার৷ এটা আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানীদের দল, যেখানে ৬০টি দেশের কর্মী অনেক বছর ধরে আমাদের সঙ্গে কাজ করছে৷’’ চ্যান্সেলর ম্যার্কেলের সঙ্গে কথা বলার সময় সার্বিক সহায়তার জন্য জার্মান সরকারকে ধন্যবাদ জানান শাহিন এবং ট্যুরেচি৷ এ সময় ট্যুরেচি আরো বলেন, করোনার বিপক্ষে ম্যারাধন দৌড় এখনো শেষ হয়নি৷
এসিবি/কেএম (ডিপিএ, রয়টার্স)