1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বায়ু বিদ্যুতে বাংলাদেশের যা অবস্থা

জাহিদুল হক২৩ আগস্ট ২০১৪

নবায়নযোগ্য জ্বালানির অন্যতম উৎস বায়ু৷ কিন্তু ৭১০ কিলোমিটার দীর্ঘ উপকূলীয় অঞ্চল থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ এখনও এই উৎসের ব্যবহার ততটা করতে পারেনি৷ তবে সম্প্রতি ৬০ মেগাওয়াট বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদনে একটি চুক্তি সই হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/1Cz5O
৭১০ কিলোমিটার দীর্ঘ উপকূলীয় অঞ্চল থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ এখনও বায়ু বিদ্যুৎ ব্যবহারে ততটা এগোতে পারেনিছবি: Jorgen True/AFP/Getty Images

কক্সবাজারে এই কেন্দ্র স্থাপন করবে ‘ইউএস-ডিকে গ্রিন এনার্জি (বিডি) লিমিটেড' নামে যুক্তরাষ্ট্র, ডেনমার্ক ও বাংলাদেশের একটি যৌথ কোম্পানি৷ প্রায় ১২০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে এই কেন্দ্রটি স্থাপনে গত মে মাসে একটি চুক্তি সই হয়৷ চুক্তি অনুযায়ী, আগামী এক বছর, অর্থাৎ ২০১৫ সালের মে মাসের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হওয়ার কথা৷

জানা গেছে, মহেশখালী নদীর দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অবস্থিত কক্সবাজারের কুরুশকুলে বঙ্গোপসাগরের তীরে প্রতিটি ২ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ৩০-৩৫টি উইন্ড টারবাইন স্থাপন করা হবে৷

সমুদ্র অঞ্চল বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বেশ উপযুক্ত৷ বাংলাদেশে প্রায় ৭১০ কিলোমিটার দীর্ঘ উপকূল রয়েছে৷ কিন্তু তারপরও বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদনের দিকে সরকার এখন পর্যন্ত তেমন একটা নজর দেয়নি৷

ফেনীর সোনাগাজীতে মহুরী বাঁধ এলাকায় বাংলাদেশের প্রথম বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়৷ সেসময় মহুরী নদীর তীর ঘেঁষে প্রতিটি ২২৫ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন চারটি টারবাইন বসানো হয়েছিল৷ স্থাপিত হওয়ার পর দুবছর পর্যন্ত ঐ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হলেও পরবর্তী সাতবছর উৎপাদন বন্ধ থাকে৷ এরপর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে সেখানে আবার উৎপাদন শুরু হয় বলে জানিয়েছে বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম৷

বাংলাদেশের অন্য আরেকটি বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায়৷ ২০০৮ সালে সেখানে ৫০টি টারবাইন বসানো হয়৷ প্রতিটির ক্ষমতা ২০ কিলোওয়াট করে৷ অর্থাৎ এই কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ১ মেগাওয়াট৷

পরিসংখ্যান

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, বিপিডিবি-র তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুন পর্যন্ত দেশের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর স্থাপিত উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ১০,৪১৬ মেগাওয়াট৷ এর মধ্যে বায়ু থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা মাত্র ১.৯ মেগাওয়াট৷

নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতি অনুযায়ী সরকার ২০১৫ সালের মধ্যে মোট বিদ্যুতের অন্তত ৫ ভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিভিন্ন উৎস থেকে পেতে চায়৷ এ জন্য প্রায় ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসতে হবে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে৷ বর্তমানে এই খাত থেকে ৪০৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় বলে বিপিডিবি সূত্রে জানা গেছে৷ এর মধ্যে সৌরশক্তি থেকে আসে প্রায় ১৬৫ মেগাওয়াট৷ আর জলবিদ্যুৎ থেকে ২৩০, বায়োগ্যাস থেকে ৫, বায়োমাস থেকে ১ মেগাওয়াটেরও কম আর বায়ু থেকে আসে ২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ৷

উইন্ড ম্যাপ

বায়ু থেকে আরও বেশি পরিমাণে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে ২০১২ সালে সরকার রিজেন পাওয়ারটেক প্রাইভেট লিমিটেড নামে ভারতীয় এক কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি সই করে৷ এর আওতায় কোম্পানিটি ফেনী, কক্সবাজার, চট্টগ্রামের আনোয়ারা, কুয়াকাটা ও পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় বাতাসের গতি মেপে দেখছে৷ এখন পর্যন্ত তারা কক্সবাজার অঞ্চলে বাতাসের গতিবেগ প্রতি সেকেন্ডে ৬ থেকে ৮ মিটার পেয়েছে, যেটা বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদনের উপযোগী বলে জানা গেছে৷ আগামী বছরের মধ্যে ভারতীয় ঐ কোম্পানির কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য পাওয়ার পর বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদনে সরকার পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে পারে বলে জানা গেছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য