বায়ার্ন মিউনিখের পর এবারে ভারতের পথে এফসি বার্সেলোনাও
২১ অক্টোবর ২০১১এর কারণ, লোকবল, অর্থবল বা মনোবল – যারই অভাব হোক না কেন, এবার কিন্তু দেশটিতে আন্তর্জাতিক মানের ফুটবল গড়ার কিছু উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে৷ ভারতে ফুটবল প্রতিভা খুঁজে বার করতে এবং কিশোর-তরুণদের প্রশিক্ষণ দিতে ইতিমধ্যেই কোমর বেঁধে লেগেছে জার্মানির অন্যতম ফুটবল দল বায়ার্ন মিউনিখ৷ খেলাধুলার জিনিস-পত্র প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ‘আডিডাস' ও গাড়ির কোম্পানি ‘আউডি'-র সঙ্গে সহযোগিতায়, রাজধানী নতুন দিল্লিতে বসেছে এফসি বায়ার্ন ইউথ ক্লাবের আসর৷ যেখানে ১৬ বা তার কম বয়সি ছেলেদের মধ্যে থেকে বেছে নেওয়া হবে সুপ্ত প্রতিভা৷ দেওয়া হবে প্রশিক্ষণ৷ আর তারাই, আগামী বছরের মে মাসে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পাবে জার্মানির মিউনিখ শহরে৷
এখানেই শেষ নয়৷ কারণ এবার, বায়ার্ন দলের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভারতে আসছে ইউরোপের শীর্ষ এক আন্তর্জাতিক ক্লাব এফসি বার্সেলোনা৷ ইউএএফএ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ আর স্প্যানিশ লা লিগা'র এই চ্যাম্পিয়ন দলও ভারতের তরুণ প্রজন্মকে প্রশিক্ষণ দিতে একেবারে তৈরি৷ গত বুধবার, নতুন দিল্লিতে আয়োজিত একটি সংবাদ সম্মেলনে একথাই ঘোষণা করেছে ‘কনসায়েন্ট ফুটবল' নামের একটি কোম্পানি৷ প্রসঙ্গত, এ কোম্পানির সঙ্গে এক জোট হয়েই ভারতীয় ফুটবলে তাদের অবদান রাখতে রাজি হয়েছে এফসি বার্সেলোনা৷ আর এরা, নতুন দিল্লির গুরগাঁও অঞ্চলে ফুটবল প্রশিক্ষণ শুরু করে দিয়েছে বেশ কিছু দিন যাবত৷
ফুটবলের জগতে প্রশিক্ষক হিসেবে এফসি বার্সেলোনার ভালোই নাম-ডাক আছে৷ এফসি বার্সেলোনা দলের প্রধান খাভি মার্স বলেন, ‘‘আমরা আগামী বছরের শুরুতেই ভারতে একটা ‘সকার-ক্যাম্প' তৈরি করতে চলেছি৷ ভারতে ফুটবল নিয়ে উৎসাহ দেখে আমরা আপ্লুত৷ তাই ‘কনসায়েন্ট ফুটবল'-কে আমাদের সহযোগী হিসেবে পেয়ে আমরা সত্যিই আনন্দিত৷''
গত বছর এফসি বার্সেলোনা দল বিশ্বব্যাপী মোট ২২টি শহরে ‘সকার-ক্যাম্প'-এর আয়োজন করে এবং ৩-১৭ বছর বয়সের প্রায় ১৮ হাজার কিশোর ফুটবলারকে প্রশিক্ষণ দেয়৷ খাভি মার্স জানান, ‘‘আমরা মূলত তিন ভাগে ট্রেনিং দিয়ে থাকি৷ ‘ইন্ট্রোডাকশন' বা ভূমিকা, ‘প্রি-ট্রেনিং' বা প্রাক-শিক্ষা এবং ‘ট্রেনিং' বা পুরো মাত্রায় প্রশিক্ষণ৷
‘কনসায়েন্ট ফুটবল'-এর প্রধান আনু জেইন জানান, ‘‘এ ধরণের একটা ‘সকার-ক্যাম্প' ভালো ফুটবলার হওয়ার পথে প্রথম পদক্ষেপ৷ আমরা চাইছি, আমাদের ছেলেরা যাতে বিশ্বের এক নম্বর দলের কাছে থেকে প্রশিক্ষণ পায়৷ আশা করছি, আগামী বছর ভারতীয় কিশোররাও এমন একটা ‘ক্যাম্প' থেকে জ্ঞান আহরণ করতে পারবে, শিখতে পারবে ফুটবলের নানা কৌশল৷''
ভুলে গেলে চলবে না, এদের হাতেই এক সময় তৈরি হয়েছিলেন জেরার্ড পিক, ভিক্টর ভাল্দেস, খাভি এরনানদেস, কার্লোস পুওল, আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা এবং লিওনেল মেসি-র মতো খেলোয়াড়৷
প্রতিবেদন: দেবারতি গুহ
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক