বার্লিনালের ৬৬তম আসরে যা থাকছে
বার্লিনের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের চলতি বছরের আয়োজনের কিছু দিক তুলে ধরা হলো এই ছবিঘরে৷
ডিটার কসলিকের কৌশলী আচরণ
উচ্চমানের একটি চলচ্চিত্র উৎসব পরিচালনার জন্য শক্তিশালী একটা ‘টিম’ বা দলের দরকার হয়৷ সেই ২০০১ সাল থেকে বার্লিনালের পরিচালক হিসেবে আছেন ডিটার কসলিক৷ আন্তর্জাতিক এই চলচ্চিত্র উৎসবে বিভিন্ন বিষয়ে বিতর্কের মাঝেও একটি সুন্দর পরিবেশ বজায় রাখতে বেশ পারদর্শী তিনি৷ চলতি বছর উৎসবে বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে শরণার্থী ইস্যু৷ ৬৬তম বার্লিনালে চলবে ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত৷
সুখের সন্ধানে শরণার্থীরা
চলতি বছরের উৎসবের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘সুখের অধিকার’৷ কসলিকের ভাষায় এই প্রতিপাদ্যের মধ্যে কাজের অধিকার, ভালোবাসা এবং নিজের জন্য একটা ছোট্ট জায়গা যাকে বাড়ি বলা যায়, থাকছে৷ ইউরোপে শরণার্থী সংকটের প্রেক্ষাপটে এ কথা বলেছেন তিনি৷ প্রদর্শনীতে প্রতিযোগিতায় থাকা ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘ফায়ার এট সি’ নামের একটি ‘ডকুমেন্টারি’ বা তথ্যচিত্র, যা শরণার্থীদের দুর্ভোগ নিয়ে তৈরি৷
নৈতিক উভয়সংকট
বার্লিনালের সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘গোল্ডেন বেয়ারের’ জন্য প্রতিযোগিতায় থাকা ছবিগুলোর একটি জার্মানিতে তৈরি৷ ‘২৪ উইকস’ নামের এই ছবিটি এক সফল বিনোদিনীকে নিয়ে করা, যিনি এক পর্যায়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন এবং জানতে পারেন যে তাঁর অনাগন সন্তান প্রতিবন্ধী৷ এ খবরে উভয়সংকটে পড়েন তিনি, ভোগেব মানসিক কষ্টে৷ প্রশ্ন ওঠে, অসুস্থ সন্তানের জন্ম দেবেন না দেবেন না? শেষ পর্যন্ত অবশ্য গর্ভপাতের সিদ্ধান্ত নেন তিনি৷
ইরানের ছবি
বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসব শুধু ইউরোপ এবং হলিউডের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়৷ বরং ইরানের বিভিন্ন ছবিও গত কয়েকবছর ধরেই উৎসবে দেখানো হয়েছে৷ চলতি বছর সেদেশের ‘এ ড্রাগন এরাইভস’ ছবিটি দেখানো হবে৷
জুরিমণ্ডলীর প্রেসিডেন্ট: মেরিল স্ট্রিপ
এই অভিনেত্রী আগে অনেকবার বার্লিনালে মাতিয়েছেন৷ এ বছর তিনি থাকছেন সাতজন সদস্যের জুরিমণ্ডলীর প্রধান হিসেবে, যাঁরা প্রতিযোগিতার ‘গোল্ডেন’ এবং ‘সিলভার বেয়ার’, অর্থাৎ স্বর্ণ এবং রৌপ্য ভল্লুক বিজয়ীদের নির্ধারণ করবেন৷
আনা ফ্রাংককে স্মরণ
আনা ফ্রাংকের ‘জার্নাল’ বা তাঁর নিজের লেখা ডায়েরি অবলম্বনে তৈরি সর্বশেষ একটি ছবির বিশ্ব প্রিমিয়ার হবে বার্লিনালেতে৷ ‘দ্য ডায়েরি অফ আনা ফ্রাংক’ প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শন করা হবে মার্চ থেকে৷
বার্লিনালে, জার্মান উৎসব
বার্লিনালের প্রতিযোগিতাতে জার্মানির তৈরি মাত্র একটি ছবি এবং কিছু যৌথ প্রযোজনার ছবি থাকলেও, উৎসবের মূল লক্ষ্য হচ্ছে জার্মান চলচ্চিত্রকে ‘প্রমোট’ করা৷ ফলে উৎসবের প্রোগ্রাম অংশে থাকছে জার্মানিতে তৈরি বা যৌথ উদ্যোগে তৈরি ১৫১ টি ছবি৷