বার্লিন প্রাচীর পতনের ২০তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে বছরব্যাপী উৎসব
৩০ জানুয়ারি ২০০৯বার্লিনের পটসডামের প্লাৎস-এ আয়োজিত এক সমাবেশে নগরীর সিনেট প্রতিনিধি রিশার্ড মেঙ্গ বলেন, ২০০৯ সাল হচ্ছে স্মৃতির বছর এবং একই সাথে বার্লিন প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলার জন্য যারা অবদান রেখেছেন তাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের বছর৷
সারা বছরব্যাপী প্রদর্শনী, সংলাপ, পথ শোভাযাত্রাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জনগণকে বার্লিনে যে সব পরিবর্তন সাধিত হয়েছে তা স্মরণ করিয়ে দেয়া হবে৷
এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ হচ্ছে বার্ষিকী উদযাপন সপ্তাহ এবং পাথরের টুকরো দিয়ে নকল প্রাচীর তৈরি যা কমিউনিজমের পতনের ঘটনাকে স্মরণ করে ৯ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙ্গে ফেলা হবে৷
বৃহস্পতিবার থেকে নগরীর পটসডামের প্লাৎস-এ একটি লাল তথ্য বুথ চালু থাকবে যেখানে ১৯৮৯ সাল থেকে বার্লিনে ঘটে যাওয়া সব পরিবর্তনের তথ্যাবলী পাওয়া যাবে৷
গত ২০ বছরে বার্লিনের উপর দিয়ে যে পরিবর্তনের হাওয়া বয়ে গেছে তার চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে একটি ভ্রাম্যমাণ ইন্টারএ্যাক্টিভ প্রদর্শনী বক্সে৷
বার্লিন নগরীর ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ১৫টি স্থানে ঘোরার সময় ভ্রাম্যমাণ প্রদর্শনী বক্সের ১০০ মিটার উপরে একটি বড় হিলিয়াম পূর্ণ তীর এর অবস্থান নির্দেশ করে উড়তে থাকবে৷
নগর দপ্তরের কর্মকর্তারা বলেন, প্রদর্শনীর এই বুথগুলো দরকার কারণ মূল বার্লিন দেয়ালের কোন চিহ্ন এখন বিদ্যমান প্রায় নেই বললেই চলে৷
বার্লিনের শাসক মেয়র ক্লাউস ভোভেরাইট বলেন, ১৯৮৯ সালে বার্লিন প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলার পরে এখান থেকে বিভাজনের সকল চিহ্ন মুছে ফেলাটাই ছিল সবার দাবী৷
বুধবার বার্লিনের আরবিবি ইনফোরেডিওকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মেয়র বলেন, সেদিন আমরা খুব আনন্দঘন পরিবেশে ছিলাম৷ সেদিন কেউ আর এক মুহূর্তও এখানে বার্লিন প্রাচীরের অস্তিত্ব দেখতে চায়নি৷ প্রাচীর এই নগরীকে বিভক্ত করেছিল৷ প্রাচীর বার্লিন শহর, এর নাগরিক এবং প্রতিটি ব্যক্তির জীবনে কলংক ও লজ্জা এনে দিয়েছিল৷
তিনি বলেন, শত শত পোস্টার, মানচিত্র আর প্রদর্শনীর মাধ্যমেও এই প্রাচীরের যে বিভীষিকাময় রূপ তা তুলে ধরা কঠিন৷
অতীত পর্যালোচনা করতে গিয়ে মেয়র ভোভেরাইট বলেন, সম্ভবত দেয়ালটির সবকিছু খুব তাড়াহুড়ো করে সরানো হয়ে গেছে, এর কিছু অংশ উদাহরন হিসেবে রাখাটা হয়তো উচিত ছিল৷