বামদের পুলিশের বেধড়ক পিটুনি
‘নিরপেক্ষ তদারকি সরকার’ গঠনের দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোট বৃহস্পিতবার নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয় ঘেরাও করতে গেলে তাদের বেধড়ক লাঠিপেটা করে পুলিশ৷
অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন
অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিতে তফসিল ঘোষণার আগে সংসদ ভেঙে দিয়ে ‘নিরপেক্ষ তদারকি সরকার’ গঠনের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ ১০ দফা দাবিতে এই কর্মসূচি পালন করছিল বামপন্থি দলগুলোর মোর্চা ‘বাম গণতান্ত্রিক জোট’৷
প্রথমে বাধা
ঢাকার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামন থেকে হেঁটে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের দিকে এগোচ্ছিলেন বাম নেতা-কর্মীরা৷ কারওয়ানবাজারের সার্ক ফোয়ারার কাছে পৌঁছালে তাঁদের বাধা দেয় পুলিশ৷
নির্বিচার লাঠিপেটা
কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া নিয়ে বাদানুবাদের এক পর্যায়ে লাঠিপেটা শুরু করে পুলিশ৷ এ সময় বাম জোটের শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন বলে দাবি করা হয়েছে৷
বাদ যাননি নেতারাও
মারধরের সময় বাম দলগুলোর জ্যেষ্ঠ নেতাদেরও ছাড় দেয়নি পুলিশ৷ পিটুনিতে বাম জোটের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য লুনা নূরও আহত হয়েছেন বলে সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে৷ আহত এক কর্মীকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে৷
নিন্দা
কর্মসূচিতে পুলিশি হামলার নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবিসহ বামপন্থি দলগুলো৷ এক বিবৃতিতে সিপিবি বলেছে, এখানে নারী পুলিশের অনুপস্থিতিতে নারীনেত্রীদের ওপর পুলিশের পুরুষ সদস্যরা ‘ন্যক্কারজনক’ হামলা করেছে৷
সরকার ‘বেপরোয়া’
সিপিবি নেতারা বলছেন, এই সরকার ‘গণবিরোধী’, তারা জনরোষের ভয়ে ভীত হয়ে ক্রমেই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে৷ পেটোয়া পুলিশ বাহিনী দিয়ে জনগণের বিক্ষোভ দমন করতে চাইছে৷
‘মেরুকরণে নেই’ বামরা
‘নিরপেক্ষ’ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে৷ একই দাবিতে বামপন্থিদের এই কর্মসূচি ঘোষণা হলেও তারা বিএনপি বা আওয়ামী লীগের মেরুকরণে নেই বলে দাবি করেছেন সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম৷ তিনি বলেছেন, জনগণের ‘ন্যায়সঙ্গত’ দাবি অগ্রাহ্য করে হামলা-মামলা দিয়ে কেউ রেহাই পায়নি, এই সরকারও পাবে না৷