বাবরকে অবৈধ সম্পদের মামলায় আট বছরের কারাদণ্ড
১২ অক্টোবর ২০২১ঢাকার ৭ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. শহিদুল ইসলাম মঙ্গলবার এ মামলার রায় ঘোষণা করেন বলে ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়৷ দুটি ধারায় বাবরকে পাঁচ ও তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে রায়ে৷
২০০৭ সালের ২৬ জুলাই থেকে এ মামলায় কারাগারে থাকা বাবরের অনেক আগেই সাজার সময় পার হয়ে গেছে৷ তার নামে দুটি মামলায় মৃত্যুদণ্ডের রায় ঝুলছে৷ রায়ের পর বাবর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘‘সাজার মেয়াদ পার হয়ে গেলেও যেহেতু এই রায়ে অপরাধী বলে সাব্যস্ত হলাম, আমি অবশ্যই আপিল করব৷'' এ মামলার আত্মপক্ষ শুনানিতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছিলেন বাবর গত ২১ সেপ্টেম্বর৷ বাবরের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মো. আমিনুল ইসলাম এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন মোশাররফ হোসেন কাজল৷
সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবর ২০০৭ সালের ২৮ মে সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে যৌথবাহিনীর হাতে আটক হন৷ দুদক ২০০৮ সালের ১৩ জানুয়ারি রমনা থানায় তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের মামলা দায়ের করে৷
এ মামলার বাদী দুদকের জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর সহকারী পরিচালক মির্জা জাহিদুল আলম তদন্ত শেষে ওই বছরের ১৬ জুলাই দুদকের উপসহকারী পরিচালক রূপক কুমার সাহা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন৷ বাবরের বিরুদ্ধে ৭ কোটি ৫ লাখ ৯১ হাজার ৮৯৬ টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ আনা হয়৷
বাবর দুদকে ৬ কোটি ৭৭ লাখ ৩১ হাজার ৩১২ টাকার সম্পদের হিসাব দাখিল করেছিলেন বলা হয় অভিযোগপত্রে৷ প্রাইম ব্যাংক এবং এইচএসবিসি ব্যাংক দুটি এফডিআরে ৬ কোটি ৭৯ লাখ ৪৯ হাজার ২১৮ টাকা এবং বাড়ি নির্মাণ বাবদ ২৬ লাখ ৪২ হাজার ৬৭৮ টাকার তথ্য তিনি গোপন করেন বাবর৷
২০০৮ সালের ১২ আগস্ট বাবরের বিরুদ্ধে আদালত বিচার শুরুর আদেশ দেয় তবে উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশে মামলার বিচার দীর্ঘদিন আটকে ছিল৷ হাইকোর্ট গত বছর ৩০ দিনের মধ্যে এ মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয়৷ রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের শুনানি শেষে মামলাটি রায় হয় গত ৪ অক্টোবর৷
নেত্রকোনা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বাবর ১৯৯১ সাল থেকে ৩ বার সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেন৷ ২০০১ সালে বিএনপি সরকারে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন৷সাবেক বিএনপি নেতা বাবরকে ২০০৪ সালের গ্রেনেড হামলা এবং ১০ ট্রাক অস্ত্র আটকের মামলার রায়ে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত৷
এনএস/কেএম (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)