1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজউত্তর অ্যামেরিকা

বাফালো-হামলা 'বর্ণবাদী সন্ত্রাসবাদ': বাইডেন

১৮ মে ২০২২

মঙ্গলবার বাফালোয় গিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। হামলাস্থল ঘুরে দেখেন। বর্ণবাদী হামলাকে তিনি সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে তুলে করেছেন।

https://p.dw.com/p/4BRia
অ্যামেরিকা
ছবি: Andrew Harnik/AP/dpa/picture alliance

অত্যন্ত কড়া ভাষায় বাফালো হামলার সমালোচনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে তিনি আঙুল তুলেছেন হোয়াইট সুপ্রিমেসি বা বর্ণবাদের দিকে। যে ঘটনা ঘটেছে তা সন্ত্রাসবাদ ছাড়া আর কিছু নয় বলে দাবি করেছেন তিনি। বাইডেন একটি নতুন শব্দবন্ধ ব্যবহরা করেছেন এদিন-- অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসবাদ। বাফালোর ঘটনা তেমনই সন্ত্রাসবাদ বলে দাবি করেছেন তিনি। এই ঘটনার জন্য টেলিভিশন, সোশ্যাল মিডিয়া এবং ইন্টারনেটের দিকেও আঙুল তুলেছেন বাইডেন।

কী ঘটেছিল

বাফালোর একটি সুপারমার্কেটে ঢুকে ১৮ বছরের এক তরুণ বেলাগাম গুলি চালিয়েছিল। ঘটনায় আহত হন মোট ১৩ জন। যার মধ্যে ১১ জনই কৃষ্ণাঙ্গ। এর মধ্যে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। যে অঞ্চলের সুপারমার্কেটে ওই তরুণ ঢুকেছিল, সেই অঞ্চলটি কৃষ্ণাঙ্গ অধ্যুষিত। বোঝাই যায়, ওই তরুণ বর্ণবাদী। হোয়াইট সুপ্রিমেসি মাথায় রেখেই সে ওই কাজ করেছে। পরে তার সোশ্যাল নেটওয়ার্ক পোস্ট থেকে বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে।

বাইডেনের বক্তব্য, বিষয়টিকে কেবলমাত্র বর্ণবাদ বললে কম বলা হয়, একে সন্ত্রাসবাদ বলতে হবে।

মিডিয়া, রাজনীতি এবং ইন্টারনেট

বাইডেনবলেছেন, এই ধরনের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য মিডিয়া, রাজনীতি এবং ইন্টারনেটকে দায়ী করতেই হয়। তার বক্তব্য, শুধুমাত্র আক্রমণকারীকে দোষী ঘোষণা করে লাভ নেই, এদের যারা ইন্ধন দিচ্ছে, তাদের দিকেও এবার আঙুল তুলতে হবে। সরাসরি কোনো মিডিয়ার নাম উল্লেখ না করলেও বাইডেনের ইঙ্গিত স্পষ্ট। ফক্স চ্যানেলের এক সাংবাদিক সম্প্রতি লেট নাইট শোয়ে চক্রান্তের তত্ত্ব তুলে ধরেছেন। কীভাবে শ্বেতাঙ্গদের প্রভাব কমিয়ে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে, তা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেছেন তিনি। এর পিছনে বামেদের মাথা কাজ করছে বলেও দাবি করা হয়েছে। বিভিন্ন বর্ণবাদী ম্যানিফেস্টোয় এখন এই চক্রান্তের তত্ত্ব ঘুরছে। অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই তত্ত্ব। হোয়াইট হাউস সরাসরি ওই সাংবাদিকের বা চ্যানেলের নাম দিয়ে বিরোধিতা করেনি, বাইডেনও সরাসরি কারো নাম নেননি, কিন্তু তার ইঙ্গিত যে সেদিকেই, তা স্পষ্ট।

রাজনীতিতেও একটি অংশ বর্ণবাদ ছড়ানোর চেষ্টা করছে বলে এদিন অভিযোগ করেছেন তিনি। আর অভিযোগ করেছেন ইন্টারেনেটের বিরুদ্ধে। বস্তুত, ইন্টারনেট ব্যবহার করে সোশ্যাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে যেভাবে বিভেদের বিষ ছড়ানো হচ্ছে, তার সমালোচনা করেছেন তিনি।

বাইডেন জানিয়েছেন, তার সরকার বার বার চেষ্টা করেছে অস্ত্র আইনের পরিবর্তন করতে। কিন্তু রিপাবলিকান তা হতে দেন না। ফের তিনি চেষ্টা করবেন, অস্ত্র কেনার নিয়ম আরো কঠোর করতে।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি)