বাদাউয়ির নামে ফাউন্ডেশন
১১ সেপ্টেম্বর ২০১৫মত প্রকাশের অধিকার নিয়ে উত্তাল গোটা বিশ্ব৷ শুধু স্বৈরতান্ত্রিক রাষ্ট্র নয়, বাংলাদেশ বা ভারতের মতো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রেও বাক স্বাধীনতার বিষয়টি বার বার বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসছে৷ এমন প্রেক্ষাপটে সৌদি ব্লগার রাইফ বাদাউয়ি মুক্ত চিন্তার সংগ্রামের প্রতীক হয়ে উঠেছেন৷ শুক্রবার ডয়চে ভেলের মহাপরিচালক পেটার লিমবুর্গ বার্লিনে রাইফ বাদাউয়ির স্ত্রী এনসাফ হায়দারের হাতে ডিডাব্লিউ-র ‘ফ্রিডম ও স্পিচ অ্যাওয়ার্ড' তুলে দেন৷ বাদাউয়ির নামে একটি ফাউন্ডেশন তৈরির ঘোষণাও করেন হায়দার৷
দিনটা ছিল শুক্রবার৷ প্রতি শুক্রবার রাইফ বাদাউয়ি জানতে পারেন, সেই দিন তাঁকে বেত্রাঘাত সহ্য করতে হবে কিনা৷ এ বিষয়ে এনসাফ হায়দারের একটি সাক্ষাৎকার শেয়ার করেছেন জেসিকা মন্টেল৷
রাইফ বাদাউয়ির মুক্তির জন্য আন্তর্জাতিক চাপের উপর আলোকপাত করেছেন মার্কুস৷
শুক্রবার বার্লিনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন ও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডয়চে ভেলের সাংবাদিক বেন নাইট৷ তিনি একাধিক টুইটের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলি তুলে ধরেন৷ যেমন এনসাফ হায়দার জানিয়েছেন, নিজের নামে ফাউন্ডেশনের কথা বাদাউই এখনো জানেন না৷
এই ফাউন্ডেশন সৌদি আরব বা অন্য কোনো দেশের সরকারের বিরুদ্ধে নয়, বলেন এনসাফ হায়দার৷
পেটার লিমবুর্গ এনসাফ হায়দারের হাতে ‘ফ্রিডম ও স্পিচ অ্যাওয়ার্ড' তুলে দেন৷
শুধু ডয়চে ভেলের প্রথম ‘ফ্রিডম ও স্পিচ অ্যাওয়ার্ড' নয়, রাইফ বাদাউয়ির নাম আরও অনেক পুরস্কারের জন্য বিবেচনা করা হচ্ছে – যেমন নোবেল শান্তি পুরস্কার৷
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের শাখারভ পুরস্কারের জন্যও বাদাউয়ি বিবেচিত হচ্ছেন৷
সংকলন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ