বাড়ির উঠোনে স্বর্ণপদক জয়ের লড়াই
৪ মে ২০২০করোনা ভাইরাসের কারণে টোকিও অলিম্পিক এক বছর পিছিয়েছে৷ কবে সবাই ট্র্যাকে ফিরতে পারবেন তার ঠিক নেই৷ তাই বলে ঘরে বসে বসে হতাশায় পোড়ার কোনো মানে হয়?
২০১২ সালের অলিম্পিকে পুরুষদের পোল ভল্টে সোনা জেতা রেনোঁ লফিলেনি তাই আরমন্ড ডুপ্ল্যান্টিস আর স্যাম কেন্ড্রিক্সকে বললেন, ‘‘চলো, আমরা বাড়ির উঠোনেই একটা প্রতিযোগিতায় নামি!’’
ফ্রান্সের লফিলেনির বিশ্ব রেকর্ড ভাঙা সুইডেনের পোল ভল্টার ডুপ্ল্যান্টিস লুফে নিলেন সেই প্রস্তাব৷ অ্যাথলেটিক্স বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জেতা কেন্ড্রিক্সও ঘরে বসে এমন একটা প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার সুযোগ ছাড়তে চাননি৷ ফলে রোববার পোলভল্টের তিন চ্যাম্পিয়নের বাড়ির উঠোনেই হয়ে গেল জমজমাট এক লড়াই৷
তিন জনের বাড়িতে তো আর বিচারক বা অ্যাথলেটিক্সের বিশ্ব সংস্থার কর্মকর্তাদের পাঠানো সম্ভব নয়, তাই বারবার ‘বার’ উঁচু করাও অসম্ভব৷ সবাই ঠিক করলেন, চার দশমিক নয় মিটার, অর্থাৎ ১৬ ফুট উঁচুতে বার স্থির রেখেই চলবে শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই৷ ৩০ মিনিটে যে যত বেশি বার ওই উচ্চতা অতিক্রম করতে পারবেন, তিনিই সেরা, তাকেই দেয়া হবে স্বর্ণপদক জয়ের স্বীকৃতি৷
৩০ মিনিটে লফিলেনি আর ডুপ্ল্যান্টিস ওই উচ্চতা পেরোলেন ৩৬ বার করে! কেন্ড্রিক্স পার হলেন ২৬ বার৷ ব্রোঞ্জ তো কেন্ড্রিক্স পাবেন৷ কিন্তু স্বর্ণপদক কাকে দেয়া যায়?
২০ বছর বয়সি ডুপ্ল্যান্টিস তিন মিনিটের একটা প্লে-অফ চেয়েছিলেন৷ কিন্তু ৩৩ বছর বয়সি লফিলেনি ততক্ষণে এত ক্লান্ত যে তাতে সায় দিতে পারেননি৷ অগত্যা একটু কম সময়ে ৩৬ বার ১৬ ফুট পার করা লফিলেনির সঙ্গে স্বর্ণপদকটা ভাগাভাগি করতেই হলো ডুপ্ল্যান্টিসকে৷
বাড়ির উঠোনে হলেও তিন তারকার মিছেমিছি স্বর্ণপদকের এর লড়াই কিন্তু মোটেই হেলাফেলার ছিল না৷ অ্যাথলেটিক্সের বিশ্বসংস্থা ওয়ার্ল্ড অ্যাথলেটিক্স-এর সামাজিক যোগাযোগের সব প্ল্যাটফর্মে সরাসরি দেখানো হয়েছে শ্বাসরুদ্ধকর এ লড়াই৷ ওয়ার্ল্ড অ্যাথলেটিক্স-এর সভাপতি সেবাস্টিয়ান কো প্রতিযোগিতা দেখে বলেছেন, ‘‘চমৎকার এক উদ্যোগ৷ দারুণ মজা হয়েছে৷ আশা করি লকডাউনে এমন উদ্যোগ চলতে থাকবে৷’’
এসিবি/কেএম (রয়টার্স)
২ এপ্রিলের ছবিঘরটি দেখুন...