বাড়ছে সামরিক ব্যয়, শীর্ষ স্থানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
৭ জুন ২০১১সুইডেনের স্টকহোম আন্তর্জাতিক শান্তি গবেষণা সংস্থা ‘সিপরি' গোটা বিশ্বে সামরিক ব্যয়ের দিকে নজর রেখে চলে৷ মঙ্গলবার প্রকাশিত এই সংস্থার নতুন রিপোর্টে বিগত ২০১০ সালের চালচিত্র ফুটে উঠেছে৷ তাতে দেখা যাচ্ছে, সামরিক ব্যয়ের ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষ স্থানে রয়েছে৷ ৬৯,৮০০ কোটি ডলার ব্যয় করে গোটা বিশ্বের সামরিক বাজেটের প্রায় ৪৩ শতাংশের ভাগীদার ওয়াশিংটন৷ দ্বিতীয় স্থান দখল করেছে চীন, যদিও ওয়াশিংটনের ব্যয়ের মাত্রা চীনের প্রায় ৬ গুণ বেশি৷ চীনের সামরিক বাজেট ১১,৯০০ কোটি ডলার, যা মোট আন্তর্জাতিক ব্যয়ভারের ৭ শতাংশের মতো৷
গত বছর বিশ্বজুড়ে মোট সামরিক ব্যয়ের মাত্রা ছিল প্রায় এক লক্ষ ষাট হাজার কোটি ডলার – যা তার আগের বছরের তুলনায় ১.৩ শতাংশ বেশি৷ অ্যামেরিকার ঠিক পরের সারিতে রয়েছে ফ্রান্স, ব্রিটেন ও রাশিয়া – প্রতিরক্ষা খাতে যাদের ব্যয় ৪ শতাংশের মতো৷ তালিকায় প্রথম ১০টি দেশের মধ্যে আরও রয়েছে জাপান, জার্মানি, সৌদি আরব, ভারত ও ইটালি৷
প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রপ্তানির তালিকারও শীর্ষে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷ গোটা বিশ্বে অস্ত্র রপ্তানির প্রায় ৩০ শতাংশেরই উৎস অ্যামেরিকা৷ ৭৫টি দেশ অস্ত্র কেনে অ্যামেরিকা থেকে৷ ক্রেতাদের তালিকার শীর্ষে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাত৷ রপ্তানির বাজারের প্রায় ২৩ শতাংশ অংশীদার হিসেবে দ্বিতীয় স্থান দখল করেছে রাশিয়া৷ রাশিয়ার অস্ত্রভাণ্ডারের প্রধান খদ্দের ভারত ও চীন৷ ২০০৬ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত এই দুই দেশই সবচেয়ে বেশি অস্ত্র আমদানি করেছে৷
প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বিক্রির ক্ষেত্রে যে ১০০টি সংস্থা সবচেয়ে বেশি সক্রিয়, শুধু ২০০৯ সালেই তারা ৪০,০০০ কোটি ডলার মূল্যের অস্ত্র বিক্রি করেছে বলে অনুমান করছে সিপরি৷ এর মধ্যে ৪৫টি সংস্থাই অ্যামেরিকা-ভিত্তিক, ৩৩টি পশ্চিম ইউরোপে সক্রিয়৷
সিপরির রিপোর্টে আরও কিছু উল্লেখযোগ্য তথ্য রয়েছে৷ যেমন এই মুহূর্তে প্রায় ৫,০০০ পরমাণু অস্ত্র মোতায়েন রয়েছে, যার মধ্যে ২,০০০ যে কোনো সময় আঘাত হানতে প্রস্তুত রাখা হয়েছে৷ ২০১০ সালে গোটা বিশ্বে মোট ১৫টি সশস্ত্র সংগ্রাম দেখা গেছে – ২০০৯ সালে এই সংখ্যা ছিল ১৭৷ গত বছর জাতিসংঘ সহ বিভিন্ন জোটের মোট ৫২টি শান্তি অভিযান চলেছে৷ আফগানিস্তানে ন্যাটোর নেতৃত্বে আইসাফ বাহিনীর অভিযান ছিল সবচেয়ে বড়৷ ১৩১,০০০ সৈন্য এতে অংশ নিয়েছে৷
প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল ফারূক