1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাড়ছে বিশ্বের জনসংখ্যা, জার্মানিতে কমতির দিকে

১ নভেম্বর ২০১১

বিশ্বের জনসংখ্যা যেখানে ৭০০ কোটিতে পৌঁছে গেল এবং আগামী চল্লিশ বছরে তা বেড়ে দাঁড়াবে ৯০ কোটির মত, সেখানে জার্মানির এখনকার আট কোটি বিরাশি লক্ষ লোকসংখ্যা ২০৫০ সালে কমে দাঁড়াবে সাত কোটি ১০ লাখ৷

https://p.dw.com/p/132Un
বেড়ে চলেছে বিশ্বের জনসংখ্যাছবি: Aftabnews

বিশ্ব জনসংখ্যার অব্যাহত বৃদ্ধি স্বভাবতই নতুন চ্যালেঞ্জ বয়ে আনবে৷ এবং তার মোকাবিলার জন্য রাজনীতিকদের নতুন দায়িত্বের মুখোমুখি হতে হবে৷ কিন্তু ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই৷ সাতশো কোটি মানুষের এই বিশ্ব ভেঙে পড়বেনা৷ সারা দুনিয়ায় যে-সম্পদ আছে তা এখনও পর্যন্ত যথেষ্ট৷ সাতশো কোটির এই সংখ্যাটাকে নিয়ে বেশি ব্যস্ত না থেকে বরং যে-প্রশ্নটাকে নিয়ে আমাদের বেশি ব্যস্ত হওয়া উচিত, সেটা হলো - এর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব কী হবে?

Zunehmende Alterung bedroht Sozialsysteme
জার্মানি তথা ইউরোপে বাড়ছে বৃদ্ধের সংখ্যাছবি: picture-alliance/ dpa

জনসংখ্যা সবচেয়ে বেশি বাড়ছে বিশ্বের দরিদ্রতম অঞ্চলগুলোতে৷ বিপরীতে ইউরোপে বৃদ্ধ মানুষের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়ন হিসেব কষে দেখেছে, তার জীবন যাত্রার উঁচু মান রক্ষা করতে, তার সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতে ২০২০ সাল পর্যন্ত দরকার হবে বিদেশ থেকে আড়াই কোটি অভিবাসী মানুষ৷ আগামী কয়েক দশকে বিশ্বের একমাত্র বড় অঞ্চল হিসেবে ইউরোপের জনসংখ্যাই কমবে - ২০৫০ সাল নাগাদ ৭৩১ মিলিয়ন থেকে তা কমে দাঁড়াবে ৬৬৪ মিলিয়ন৷ এর ফলে ইউরোপের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি মন্থর হবে৷

বলা বাহুল্য, বিশ্বব্যাপী এই পরিস্থিতির ফলপ্রসূ রাজনৈতিক মোকাবিলা করতেই হবে৷ কেননা জনসংখ্যার ক্রমবৃদ্ধি বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা, সমৃদ্ধির ওপর বড় রকমের প্রভাব রাখবে৷ ১০০ বছর আগে বড় বড় শহরগুলোতে যেখানে ২২০ মিলিয়ন মানুষ বাস করতো সেখানে ২০৫০ সালে সেই সংখ্যা ৫০০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে৷ যার জমি নেই, নেই পানি পাওয়ার উৎস সে পাড়ি জমাবে সমৃদ্ধ উন্নত দেশের দিকে৷

Familienreport - wieder mehr Geburten
ইউরোপে জন্মহার পড়তির দিকেছবি: picture-alliance/ ZB

ইউরোপের দেশগুলো পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে প্রতিবেশীদের সঙ্গে ঐকমত্যের ওপর আস্থা রাখে৷ কিন্তু যেখানে দৃষ্টিটা মূল্যবান কাঁচামালের দিকে, সেখানে এক একটি দেশ তার নিজ নিজ পথে যেতে উৎসাহী৷ কিন্তু জাতীয় রাষ্ট্রের ধ্যানধারণার ভাবনার ওপর ভিত্তি করে বিশ্বের সাতশো কোটি অথবা নয়শো কোটি জনসংখ্যার জন্য নীতি নির্ধারণ করা যাবেনা৷ বরং প্রয়োজন হবে বহুমুখী প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো৷ এর কিছু দৃষ্টান্ত রয়েছে আমাদের সামনে যেমন লিবিয়ায় ন্যাটোর সমর্থন পাওয়া গেছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ দমন আদালতের ক্ষমতা জোরদার করা হয়েছে৷ নয়শো কোটি মানুষের স্বার্থে রাজনীতি করতে হলে নিজেদের স্বার্থরক্ষায় রাশ টানতে হবে৷ করতে হবে সম্পদের আরো সুষম বণ্টন৷ উন্নয়ননীতিকে শুধু মানবিক সাহায্যের এক মাধ্যম হিসেবেই নয়, দেখতে হবে বহুমাত্রিক এক নীতি হিসেবে - যার প্রভাব পড়বে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশগুলোর নিজস্ব ভোগ্যপণ্য ব্যবহারের অভ্যাসের ওপর, তাদের অর্থনৈতিক নীতির ওপর৷

ধনী দেশগুলোর অর্থনৈতিক স্বার্থের কারণে,  ইউরোপের কৃষিখাতে ভর্তুকির কারণে যে-অসমতার সৃষ্টি উন্নয়নসাহায্যনীতি দিয়ে তা পূরণ করা যাবেনা৷ বিশ্বরাজনীতিকে যদি এই চ্যালেঞ্জগুলোর ফলপ্রসূ মোকাবিলা করতে হয়, তাহলে ভোটারদের সামনে এটা স্পষ্ট করে তুলতে হবে যে, একটি অঞ্চলের উন্নয়নের সঙ্গে আর একটি অঞ্চলের অনুন্নয়নের যোগ রয়েছে৷ সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে তীব্র ফারাকটা আর চিরকাল বহাল রাখা যাবেনা৷ নয়শো কোটি মানুষের জন্য চাই এমন এক রাজনীতি যা সবার জন্য সমান অধিকার, সমান দায়দায়িত্ব, সমান সুযোগ ও ঝুঁকির নিশ্চয়তা দেবে৷

প্রতিবেদন: উটে শেফার/ আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য