বাঘ ও মানুষের সম্পর্কের ছবি ‘লাইফ অফ পাই’
৩ ডিসেম্বর ২০১২‘লাইফ অফ পাই' ছবিটি ঠিক সেই কাজই করতে পারে বলে আশা করছেন বাঘের বন্ধুরা৷ সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভারতে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের সংখ্যা প্রায় ১,৭০০র মতো৷ অথচ ১৯৪৭ সালে, ভারতের স্বাধীনতার সময় সংখ্যাটি ছিল প্রায় ৪০,০০০এর মতো৷ চোরাশিকারি থেকে শুরু করে নানা ধরণের মানুষের কারণে ব্যাঘ্র জাতির ভবিষ্যৎ আজ বিপন্ন৷ বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন অঞ্চলে বাঘের ‘উপদ্রব' বন্ধ করতে গ্রামবাসীরা তাদের পিটিয়ে মেরে ফেলে৷
অস্কারজয়ী আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চলচ্চিত্র পরিচালক আং লি'র সাম্প্রতিকতম ছবি ‘লাইফ অফ পাই' এক কিশোরের সঙ্গে একটি বাঘের সম্পর্ক তুলে ধরেছে৷ সমুদ্রে ভাসমান একটি নৌকায় তারা মুখোমুখি, পালাবার উপায় নেই৷ তাও এক দিন বা দুই দিন নয়, টানা ২২৭ দিন ধরে৷ অতএব সহাবস্থানই একমাত্র পথ৷ তারপর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক৷ থ্রিডি বা ত্রিমাত্রিক ক্যামেরা ও অসাধারণ ‘স্পেশাল এফেক্ট' ব্যবহার করে পরিচালক নিপুণভাবে সেই কাহিনি ফুটিয়ে তুলেছেন৷
ছবিতে অভিনয় করেছেন ইরফান খান ও টাবু'র মতো বলিউড অভিনেতারা৷ কিশোরের ভূমিকায় সূরজ শর্মা'র অভিনয়ও নজর কেড়েছে৷ তাইওয়ানের পরিচালক, ভারতীয় অভিনেতা, হলিউড প্রযোজনা – বিশ্বায়নের যুগে সহযোগিতার এমন দৃষ্টান্তও সবার নজর কাড়ছে৷
বইয়ের পাতায় বা চলচ্চিত্রের পর্দায় যদি বাঘ ও মানুষের নিবিড় সম্পর্ক সম্ভব হয়, বাস্তবে তা হবে না কেন? গোটা বিশ্বে পশুদের উপর নিষ্ঠুরতার বিরুদ্ধে লড়াই করে চলেছে ‘পেটা' নামের এক সংগঠন৷ ভারতে তাদের শাখার প্রতিনিধি মণিলাল ভালিয়েট বলেন, ‘লাইফ অফ পাই' গল্পকথা৷ কিন্তু বাস্তব জীবনে পশুপাখিরা তাদের নিজেদের বাসস্থানেই বিপন্ন হয়ে পড়ছে৷ ফলে তাদের কথা ভাবতে হবে৷ তাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হলে তাদের বসতির আয়তন কমিয়ে দিলে চলবে না৷
এসবি/ডিজি (এএফপি)