1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজইসরায়েল

বাইডেনের সংঘর্ষ-বিরতির শর্ত নিয়ে আলোচনা শুরু

৩ জুন ২০২৪

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন একটি দীর্ঘমেয়াদি সংঘর্ষ-বিরতির প্রস্তাব দিয়েছেন। হামাস শর্ত মানলে ইসরায়েলও মানবে বলে অ্যামেরিকার ধারণা।

https://p.dw.com/p/4gYjF
ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা
গাজা এখন কার্যত ধ্বংসস্তূপছবি: AFP

শুক্রবার একটি সংঘর্ষ-বিরতির খসড়া প্রকাশ করেছে অ্যামেরিকা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নিজে এই প্রস্তাব দিয়েছেন বলে হোয়াইট হাউস সূত্র জানিয়েছে। শনি ও রোববার সেই প্রস্তাব নিয়ে ইসরায়েল ও হামাসের সঙ্গে আলোচনা করেছে মধ্যস্থতাকারী মিশর, কাতার ও অ্যামেরিকার প্রতিনিধিরা।

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি এবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আপতচোখে বাইডেন যে প্রস্তাবটি দিয়েছেন, তা ইসরায়েলের অনুসারী। ফলে ইসরায়েলের প্রস্তাবটি নিয়ে আপত্তি থাকার কথা নয়। যদিও ইসরায়েল জানিয়েছে, প্রস্তাবটির কয়েকটি শর্ত নিয়ে তাদের আপত্তি আছে। কিন্তু হোয়াইট হাউস মনে করছে, হামাস এই শর্ত মেনে নিলে ইসরায়েলও তাতে সম্মত হবে।

এর আগে মধ্যস্থতাকারীদের প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে গত নভেম্বর মাসে সাময়িক সংঘর্ষ-বিরতির প্রস্তাবে রাজি হয়েছিল ইসরায়েল এবং হামাস। সে সময় বেশ কিছু বন্দিকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস, পরিবর্তে ইসরায়েল মুক্তি দিয়েছিল বেশ কিছু আটক হামাস নেতা-কর্মীকে। এরপর বার বার সংঘর্ষ-বিরতির প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হলেও তা সার্থক হয়নি। এবারের প্রস্তাব নিয়ে মধ্যস্থতাকারীরা আশাবাদী।

নতুন প্রস্তাবে তিনটি ধাপের কথা বলা হয়েছে। প্রথম ধাপে বলা হয়েছে, ছয় সপ্তাহের মধ্য়ে ইসরায়েলের সেনা গাজার সমস্ত জনবহুল অঞ্চল থেকে সরে যাবে। ওই সময়ের মধ্য়েই হামাস ৭ অক্টোবরের হামলায় আটক করা আরো কিছু বন্দিকে মুক্তি দেবে। পাশাপাশি ইসরায়েলকেও আরো কিছু ফিলিস্তিনি জেলবন্দিকে মুক্ত করতে হবে।

দ্বিতীয় ধাপে সমস্ত ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দিতে হবে। অন্য়দিকে ইসরায়েল গাজা থেকে সেনাবাহিনী সম্পূর্ণভাবে সরিয়ে নেবে।

তৃতীয় ধাপে গাজায় নতুন করে ভেঙে পরা ঘর-বাড়ির পুনর্গঠন শুরু হবে। মানুষের কাছে আরো বেশি করে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হবে।

বাইডেন বলেছেন, এই প্রস্তাবে সমস্তরকম আলোচনার রাস্তা খোলা আছে। দুই পক্ষ সমস্ত শর্ত মেনে নিলে দীর্ঘমেয়াদি সংঘর্ষ-বিরতি সম্ভব বলেই বাইডেন মনে করেন। অ্যামেরিকার ধারণা, হামাস এই শর্ত মেনে নিলে ইসরায়েলও সম্মতি জানাবে। বিষয়টি নিয়ে সপ্তাহান্তে দুই পক্ষের সঙ্গেই আলোচনা চালিয়েছে মধ্যস্থতাকারীরা। ইসরায়েলের এক মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রস্তাবে যে শর্তগুলি আছে, তার অনেককিছুই ইসরায়েলের পছন্দ নয়। কিন্তু তারপরেও ইসরায়েল এই প্রস্তাব মেনে নিতে প্রস্তুত কারণ, তারা দ্রুত বন্দিদের মুক্তি চায়।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)