বাংলাদেশের ১৩ পণ্যের জিআই আবেদন বিবেচনাধীন
১ ফেব্রুয়ারি ভারত টাঙ্গাইল শাড়িকে ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর বাংলাদেশে জিআই সংক্রান্ত আলোচনা গতি পেয়েছে৷ বাংলাদেশের ১৩টি পণ্য জিআই স্বীকৃতি পেতে আবেদন করেছে৷
বাংলাদেশের প্রথম জিআই পণ্য
২০১৬ সালে জামদানি শাড়িকে বাংলাদেশের প্রথম ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়৷ শিল্প মন্ত্রণালয়ের ‘পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর’ (ডিপিডিটি) এই স্বীকৃতি দেয়৷ এটি বাংলাদেশে জিআই স্বীকৃতি দেওয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান৷ ২০০৩ সালে ডিপিডিটির যাত্রা শুরুর পর ২০১৩ সালে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (নিবন্ধন ও সুরক্ষা) আইন ও ২০১৫ সালে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়৷
মোট জিআই পণ্য ২১টি
এগুলো হলো- জামদানি, ইলিশ, চাঁপাইনবাবগঞ্জের খিরসাপাত আম, বিজয়পুরের সাদা মাটি, দিনাজপুর কাটারীভোগ, কালিজিরা, রংপুরের শতরঞ্জি, রাজশাহী সিল্ক, ঢাকাই মসলিন, ফজলি আম, বাগদা চিংড়ি, শীতল পাটি, বগুড়ার দই, শেরপুরের তুলশীমালা ধান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ল্যাংড়া আম, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আশ্বিনা আম, নাটোরের কাঁচাগোল্লা, ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল, টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম, কুমিল্লার রসমালাই ও কুষ্টিয়ার তিলের খাজা৷
আরও ৭ পণ্যের জিআই জার্নাল প্রকাশ
৮ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল শাড়ি, গোপালগঞ্জের রসগোল্লা ও নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা এবং ১১ ফেব্রুয়ারি রংপুরের হাঁড়িভাঙ্গা আম, মৌলভীবাজারের আগর, মৌলভীবাজারের আগর আতর এবং মুক্তাগাছার মণ্ডাকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার আবেদন গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়৷ এখন নিয়ম অনুযায়ী, গেজেটগুলো দুই মাস ডিপিডিটির ওয়েবসাইটে থাকবে৷ কারও যদি অভিযোগ না থাকে তাহলে দুই মাস পর এসব পণ্য জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাবে৷
১৩ পণ্যের আবেদন বিবেচনাধীন, ১০টির নাকচ
ডিপিডিটি সূত্রে জানা গেছে জামালপুরের নকশিকাঁথা, যশোরের খেজুর গুঁড়, নরসিংদীর লটকন, মধুপুরের আনারস, সুন্দরবনের মধু, রাজশাহীর মিষ্টিপান, শেরপুরের ছানার পায়েশ, ভোলার মহিষের কাঁচা দুধ, নওগাঁর নাগ ফজলি আমসহ ১৩টি পণ্যকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছে৷ ১০টি পণ্যের আবেদন যাচাই করে নাকচ করে দিয়েছে ডিপিডিটি৷
ভারতে টাঙ্গাইল শাড়ির স্বীকৃতি
১ ফেব্রুয়ারি ভারত টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়৷ এরপর বাংলাদেশের সামাজিক মাধ্যমসহ নানা মহলে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়৷ এছাড়া আরও আটটি পণ্য ভারতে জিআই স্বীকৃতি পেয়েছে, যেগুলো বাংলাদেশেও আছে৷ এগুলো হলো মালদা ফজলি আম, মালদা লক্ষ্মণভোগ আম, মালদা ক্ষীরশাপাতি, নকশিকাঁথা, বাংলার রসগোল্লা, উপাধা জামদানি, গরদ শাড়ি ও সুন্দরবনের মধু৷
আরও অভিন্ন পণ্য
বাংলাদেশের জাতীয় ফুল সাদা শাপলা, জাতীয় ফল কাঁঠাল, সুন্দরবনের গোলপাতা, সুন্দরীগাছ, নানা ধরনের মাছ, চা, পাট, সাতকরা ইত্যাদি পণ্য বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশেই আছে৷ কোনো দেশেই এগুলোর এখনও জিআই স্বীকৃতি নেই৷