1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশের স্বাধীনতার চার দশক

২৬ মার্চ ২০১১

আজ মহান স্বাধীনতা দিবস৷ ৪০ বছর আগে ১৯৭১ সালের এই দিনে বাঙালি জাতি স্বাধীনতার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছিল মুক্তিযুদ্ধে৷ একটি নিয়মিত বাহিনীর বিরুদ্ধে ৯ মাস মুক্তিযুদ্ধ করে তারা স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনেন৷

https://p.dw.com/p/10hjw
ছবি: AP

৩০ লাখ বাঙালির জীবনের বিনিময়ে অর্জন করে বাংলাদেশ নামের একটি স্বাধীন ভূখণ্ড৷ স্বাধীনতা দিবসের ৪০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সরকারের আমন্ত্রণে এবার ঢাকায় এসেছেন বিদেশি অতিথিরা৷ ভোরে সূর্যদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷

বাঙালির নেতা বঙ্গবন্ধুর ডাকে ২৬শে মার্চেই শুরু হয় প্রতিরোধ সংগ্রাম৷ যে জাতিকে গণহত্যা চালিয়ে নিশ্চিহ্ন করে দিতে চেয়েছিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনী, তারাই শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ৷ প্রগতিশীল আন্দোলনের নেতা মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বললেন, তারা বুঝে ফেলেন এখন আর বসে থাকার সময় নয়৷ সময় প্রতিরোধের, সময় মুক্তিযুদ্ধের৷ তাই তারা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে আর দেরি করেননি৷

Unabhängikeitsfeier in Bangladesh
ছবি: AP

নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি জাতিকে চরম আত্মত্যাগের পরিচয় দিতে হয়৷ ৩০ লাখ বাঙালিকে প্রাণ দিতে হয়৷ মা-বোনদের ওপর নেমে আসে চরম নির্যাতন, নিপীড়ন৷ ইতিহাসবিদ মুনতাসির মামুনের মতে, স্বাধীনতার জন্য এত ত্যাগ আর রক্ত ইতিহাসে বিরল৷

বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের মহানায়ক বঙ্গবন্ধুকে ২৫শে মার্চ মধ্যরাতেই গ্রেফতার করেছিল পাকিস্তানি সেনারা৷ কিন্তু তার আগেই মুক্তিযুদ্ধের প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিয়ে যান তিনি৷ ফলে দ্বিধাহীন চিত্তে বাঙালি চালিয়ে গেছে তার মুক্তির সংগ্রাম৷ যা জানালেন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহচর তোফায়েল আহমেদ৷

আজ স্বাধীনতা দিবসে জাতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের৷ ভোরে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পর নেমেছে মানুষের ঢল৷

লাল সবুজের পতাকা ছিনিয়ে আনা বীর শহীদদের বাঙালি জাতি কোনদিন ভুলবে না৷ ভুলবে না তাদের ত্যাগ আর বলিদান৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন