‘‘বাংলাদেশের ব্যাপারে ভারতের পররাষ্ট্রনীতির পরিবর্তন এসেছে''
২৪ মার্চ ২০২৩তিনি বলেন, ভারতও মনে করে তাদের সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখা উচিত।
ডয়চে ভেলে বাংলার সাপ্তাহিক ইউটিউব টক শো ‘ডয়চে ভেলে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়' এ এবারের আলোচনার বিষয় ছিল ‘ভারত আর অ্যামেরিকা, বন্ধু কে শত্রু কে‘৷ অনুষ্ঠানটিতে অতিথি হিসেবে শামা ওবায়েদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ।
টক শো এর সঞ্চালক ডয়চে ভেলে বাংলার প্রধান খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চান, বিএনপি এটি মনে করে কিনা যে ভারতের সরকারের সরাসরি আনুকুল্যেই আওয়ামী লীগ সরকার টানা তিন বার নির্বাচন করে ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায় আছে। উত্তরে শামা ওবায়েদ বলেন, ‘‘২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে তৎকালীন কংগ্রেস সরকারের ফরেন সেক্রেটারি সুজাতা সিং এসে বাংলাদেশে যে ডিপ্লোম্যাসি দেখিয়েছিলেন। এরশাদ সাহেবের সঙ্গে দেখা করলেন, উনি বের হয়ে বলে দিলেন যে তাকে বাধ্য করা হচ্ছে নির্বাচনে যেতে। যেখানে বিএনপির সঙ্গে কোনো আলাপই করা হয়নি। আমি মনে করি, সেখান থেকে এখন ভারতেরও বাংলাদেশের ব্যাপারে ফরেন পলিসিতে পরিবর্তন এসেছে।''
২০১৮ সালের চেয়ে ২০২৩ সালের জাতীয় নির্বাচন কিভাবে আলাদা হবে? এই প্রশ্নের সরাসরি কোনো উত্তর না দিলেও ড. সেলিম মাহমুদ বলেন, ‘‘বাংলাদেশে যাতে একটি টেকসই নির্বাচন হয়, সেজন্য ব্যবস্থা নিতে হবে। আমার সিস্টেমটাকে এমনভাবেই করেছি। আপনি নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে যান, সেখানে বিভিন্ন নিয়মকানুন, নীতিমালার একটি তালিকা রয়েছে। এগুলো কেন? অর্থাৎ ‘৭২ এর সংবিধানে নির্বাচন কমিশনকে যে সাংবিধানিক ক্ষমতা দেয়া হয়েছে আগে সেগুলো বাস্তবায়নের সুযোগ ছিল না। আমরা সেটা নিশ্চিত করছি।''
আলোচনার এক পর্যায়ে ড. সেলিম মাহমুদ দাবি করেন, বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষের কেউই শেখ হাসিনাকে ছাড়া অন্য কাউকে ভোট দিবেন না। এর কারণ হিসাবে তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচন ব্য়বস্থা থাকবে, সাধারণ মানুষ শেখ হাসিনাকেই ভোট দিবে। কারণ এদেশের জন্য, এদেশের মানুষের জন্য তিনি যা করেছেন, শত বছরেও কোনো একজন রাষ্ট্রনায়ক এমন করতে পারে। তার সে সৌভাগ্য হয়েছে।''
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদকে দল থেকে বহিষ্কার করা বিষয়ে শামা ওবায়েদ বলেন, তাকে বারবার সতর্ক করা এবং শোকজ করা সত্ত্বেও তিনি দলের কাউকে না জানিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন বলেই তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর পেছনে ভিন্নমত দমনের কোনো ব্যাপার নেই বলেও দাবি তার।
তিনি বলেন, ‘‘আওয়ামী লীগ গত ১৬ বছর ধরে বিএনপি ভাঙার চেষ্টা করছে। বহুলোককে টোপ দিয়েছে, এটা নতুন কিছু না। ১৪ সালের নির্বাচনে দিয়েছে, ১৮ সালের নির্বাচনের আগে দিয়েছে। এখনও দেয়ার চেষ্টা করছে। তবে তাতে বিএনপি ভাঙছে না, বরং আরো দিনদিন শক্তিশালী হচ্ছে।''
এডিকে/এআই