1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশের বায়ু দূষণ কমাতে প্রায় সাড়ে ৪০০ কোটি টাকার প্রকল্প

২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১১

বাংলাদেশের ব্যস্ততম দুটি শহর ঢাকা এবং চট্টগ্রাম৷ এই দুই শহরে রয়েছে অনেক ভালো কিছু৷ আবার কিছু বিষয় আছে, যা সত্যিই মানুষকে ভাবিয়ে তুলেছে৷ এর একটি হলো বায়ু দূষণ৷ এবার সরকার খুবই জোর পদক্ষেপ নিয়েছে বাতাসকে দূষণ মুক্ত করতে৷

https://p.dw.com/p/10QAS
ছবি: AP

ঢাকা শহরের ব্যস্ততম স্থান সড়ক সায়েদাবাদ৷ এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার পরিবহন শহর ও শহরের বাইরে যাতায়াত করে৷ কেবল এই স্থানের কথা বলছি কেন, রাজধানী ঢাকার অনেক স্থানেই দাঁড়ালে চোখে পানি চলে আসতে পারে৷ পুরানো গাড়ির কালো ধোঁয়া আর রাজধানীকে ঘিরে রাখা ইটের ভাটার থেকে নির্গত ধোঁয়ায় ধোঁয়াশা ঢাকা৷

পরিবেশ দূষণ বাংলাদেশের প্রধান একটি সমস্যা৷ প্রতিনিয়ত এ সমস্যা বেড়েই চলেছে৷ এ ব্যাপারে পরিবেশবিদরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন৷ পরিবেশ দূষণের কারণে দেখা দিচ্ছে বিভিন্ন ধরণের স্বাস্থ্য সমস্যা ৷ কেবল ঢাকা নয়, চট্টগ্রামের মতো অন্য অনেক বড় শহরেও বায়ু দূষণ একটি বড় সমস্যা৷

বায়ু দূষণে র মূলে প্রধানত দুটি কারণ রয়েছে৷ প্রথমত, কলকারখানার ধোঁয়া এবং দ্বিতীয়ত, যানবাহনের ধোঁয়া৷ সার কারখানা, চিনি, কাগজ, পাট এবং কাপড় তৈরির মিল, ট্যানারিজ বা চামড়ার কারখানা, গার্মেন্টস, রসায়ন ও ওষুধ শিল্প থেকে প্রচুর পরিমাণ ধোঁয়া নির্গত হয়, যাতে থাকে নানা ক্ষতিকারক উপাদান৷

ক্রমবর্ধমান নগরায়ণ, অধিকহারে যানবাহন বৃদ্ধি বায়ু দূষণে ভূমিকা রাখছে৷ বেবি ট্যাক্সি, টেম্পো, মটর সাইকেল, ট্রলি প্রভৃতি টু-স্ট্রোক যানবাহন থেকে অধিক ধোঁয়া নির্গত হচ্ছে৷ বিশ্লেষকরা বলছেন, ঢাকা শহরের ৯০ শতাংশ যানবাহন ত্রুটিপূর্ণ, যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর৷ সম্প্রতি সরকার ২০ বছরের অধিক পুরাতন যানবাহন নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ কিন্তু তারপরেও ঢাকার রাস্তায় চলছে পুরানো এবং ক্রটিযুক্ত ইঞ্জিনের গাড়ি৷

কর্মকর্তারা বলছেন, আইনের যথাযথ প্রয়োগ ছাড়া বায়ু দূষণ ঠেকানো সম্ভব নয়৷ বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে শিল্প কারখানার পরিবেশ ছাড়পত্র বাধ্যতামূলক করতে হবে৷ প্রয়োজন কঠোর মনিটরিং৷

বায়ু দূষণ সমস্যা মোকাবিলায় এবার সরকার বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় গ্রহণ করেছে একটি বড় প্রকল্প৷ যে পরিকল্পনার আওতায় রাজধানীসহ পাঁচ বড় শহরে বায়ু দূষণ রোধ এবং যানজট নিরসনের উপায় এবং কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে৷ এ নিয়ে কথা বলছিলাম বাংলাদেশের পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. এম নাসিরউদ্দিনের সঙ্গে৷ তিনি জানালেন,দেশের চার সিটি করপোরেশন (ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল) এবং বগুড়া শহরের বায়ুমান ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধি, যানবাহন চলাচল ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে যানজট নিরসন এবং ইট ভাটার নির্গমন ব্যবস্থাপনা, বাসরুট নেটওয়ার্ক যুক্তিযুক্তকরণ, পরিবহন কম্পোনেন্টের দক্ষতা উন্নয়ন ও কারিগরি সহায়তা দেওয়াই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য৷ প্রকল্পটিতে বিশ্বব্যাংক সাহায্য হিসেবে দেবে ৪৪৫ কোটি টাকা৷ ২০১৪ সালের জুন মাস নাগাদ প্রকল্পের কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন