1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের উদ্বেগ

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২ নভেম্বর ২০১৩

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের তত্‍পরতা চোখে পড়ার মতো৷ তারা নির্বাচন নিয়ে মন্তব্যের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা ও সুশীল সমাজের সঙ্গে কথা বলছে৷ বিনিয়োগ ও নিরাপত্তার জন্য স্থিতিশীলতা চায় তারা৷

https://p.dw.com/p/1AAH4
Police officers try to detain a man who was suspected of throwing a crude bomb at police in Dhaka October 26, 2013. Pro-strike activists threw crude bombs, vandalized and set fire on at least thirteen vehicles as more than fifty people were injured in Dhaka. Bangladesh Nationalist Party (BNP) and it's allies called for a three day countrywide strike from Sunday, demanding a caretaker government, local media reported. REUTERS/Andrew Biraj (BANGLADESH - Tags: POLITICS CIVIL UNREST)
ছবি: Reuters

বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মোজেনা ২৩শে অক্টোবর থেকে তিন দিনের জন্য ভারত সফর করেছেন৷ তাঁর এই সফরকে বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ৷ তিনি ডয়চে ভেলেকে বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারতকে তার অবস্থান আবারো পরিষ্কার করতে বলেছে৷ কারণ, বাংলাদেশে উভয় দেশের জন্যই ‘কমন ইন্টারেস্ট'-এর জায়গা আছে৷ আবার আছে কিছু বৈপরিত্যও৷ তাই তারা তাদের সেই স্বার্থের জায়গা সম্পর্কে পরস্পরকে পরিষ্কার করে দিতে চায়৷

অধ্যাপক আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও নিরাপত্তার জন্য দুই দেশের সাধারণ স্বার্থ আছে৷ তারা সেই স্বার্থ নিরাপদ রাখতে চায়৷ কোনো কারণে বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা বাধাগ্রস্ত হলে দুই দেশই ক্ষতিগ্রস্ত হবে৷ বিশেষ করে, বাংলাদেশে মার্কিন এবং ভারতীয় বিনিয়োগ অনিশ্চয়তার মুখে পড়বে৷ বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ বা সন্ত্রাসবাদের বিস্তার হলে পূর্ব-ভারতীয় রাজ্যগুলোর স্থিতিশীলতার জন্য তা বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াবে৷ আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাস বিরোধী অবস্থানে বড় ধরণের ধাক্কা লাগবে৷ আফগানিস্তান, পাকিস্তানের পর বাংলাদেশেও একই পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তা জন্য হবে তাদের জন্য বড় উদ্বেগের কারণ৷

অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ভারত একটি জটিল অবস্থানে আছে৷ বর্তমান সরকারের সঙ্গে তাদের সুসম্পর্ক কারুর অজানা নয়৷ তাই ভারত নির্বাচন নিয়ে কথা বললেও যেমন দোষ, না বললেও দোষ৷ তাই বার বার ভারতকে বাংলাদেশ সম্পর্কে তার অবস্থান পরিষ্কার করতে হচ্ছে৷ তবে বাংলাদেশে জঙ্গি বা সন্ত্রাসবাদের উত্থানকে কোনোভাবেই ভালো চোখে দেখবে না ভারত৷

এদিকে, ড্যান মোজেনা এখন যুক্তরাষ্ট্রে আছেন৷ তিনি ১০ দিন পর ঢাকায় ফিরবেন৷ তিনি ব্যক্তিগত নয়, ‘অফিসিয়াল' কাজে যুক্তরাষ্ট্র গেছেন৷ ড. আহমেদ মনে করেন, মোজেনা যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঢাকায় ফিরলে আগামী নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান পুরোপুরি পরিষ্কার হয়ে যাবে৷ কারণ, নির্বাচনের বেশি দেরি নেই৷ আর নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে দুই দল এখন মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে৷ ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং নিরাপত্তা – এই দুটি ইস্যু নিয়ে একটি অবস্থান নেবে যুক্তরাষ্ট্র৷ সেক্ষেত্রে তারা বাংলাদেশে একটি রাজনৈতিক সমঝোতা চাইবে বলেই মনে করেন ড. অধ্যাপক ইমতিয়াজ৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য