1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘বাংলাদেশে নাগরিক স্বাধীনতা খুব কম’

৫ মার্চ ২০২১

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা ‘ফ্রিডম হাউজ’-এর বার্ষিক প্রতিবেদন বলছে, বাংলাদেশে নাগরিক স্বাধীনতা এবং রাজনৈতিক অধিকার চর্চা একদমই কম৷

https://p.dw.com/p/3qFE6
ফ্রিডম হাউস

তাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী দক্ষিণ আফ্রিকায় আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানের অবস্থা বাংলাদেশের চেয়েও খারাপ৷ সারা বিশ্বে চীন, ইরান, তুরস্ক আর রাশিয়ার অবস্থাও ভয়াবহ৷

গত পাঁচ বছরের মধ্যে বাংলাদেশে নাগরিক স্বাধীনতা এবং রাজনৈতিক অধিকার চর্চার সবচেয়ে অবনতি হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে৷ ‘আংশিক স্বাধীন’ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান তলানিতে৷ ফ্রিডম হাউজের ২০২১ সালের সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ২১০টি দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে বাংলাদেশ ১০০ নম্বরের মধ্যে ৩৯ স্কোর করেছে৷ এর মধ্যে বাংলাদেশ রাজনৈতিক অধিকারে ৪০-এর মধ্যে ১৫ এবং নাগরিক স্বাধীনতায় ৬০-এর মধ্যে ২৪ পেয়েছে৷ ২০১৯ সালে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৪১, ২০১৮ সালে ৪৫ এবং ২০১৭ সালে ৪৭৷ গত বছরে স্কোর এ বছরের মতোই (৩৯) ছিল৷

২০০৬ সাল থেকে গত ১৫ বছর ধরে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে ফ্রিডম হাউজ৷ যেসব দেশের স্কোর ১ থেকে ৩৪-এর মধ্যে, সেগুলোতে নাগরিকদের স্বাধীনতা নেই, ৩৫ থেকে ৭১ স্কোর করলে ‘আংশিক স্বাধীন' এবং ৭১-এর উপরে যাদের স্কোর, তারা ‘স্বাধীন’৷ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে কেবল আফগানিস্তানের স্কোর ২৭৷ পাকিস্তানের স্কোর ৩৭ এবং ভারতের ৬৭৷

‘সবচেয়ে স্বাধীন’ দেশের তালিকায় আছে সুইডেন, নরওয়ে এবং ফিনল্যান্ড৷ এই দেশগুলোর স্কোর ১০০৷ জার্মানির স্কোর ৯৪, যুক্তরাজ্যের ৯৩ এবং যুক্তরাষ্ট্রের স্কোর ৮৩৷

তুরস্ক আর রাশিয়ার স্কোর বাংলাদেশের চেয়েও খারাপ- ৩২৷ তবে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা চীন ও ইরানের৷ ইরানের স্কোর ১৬ এবং চীনের মাত্র ৯৷

রাজনৈতিক অধিকারের মধ্যে নির্বাচনি ব্যবস্থা ও স্বচ্ছতা, রাজনৈতিক বহুত্ববাদ ও্ রাজনীতিতে অংশগ্রহণের সুযোগ, সরকারের কার্যকারিতা, নীতি নির্ধারণী ব্যবস্থা, ক্ষমতার ব্যবহার ও স্বচ্ছতা সম্পর্কিত নানা বিষয়৷ অন্যদিকে, নাগরিক স্বাধীনতার মধ্যে রয়েছে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও বিশ্বাস, মানবাধিকার সংস্থাসহ সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর ভূমিকা, আইনের শাসন ও বিচার ব্যবস্থা এবং ব্যক্তি স্বাধীনতা৷

এপিবি/এসিবি (ফ্রিডম হাউজ)