1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতের তদন্ত দল আসার খবরটি ভুয়া?

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৮ জুলাই ২০১৬

গুলশান এবং শোলাকিয়ার ঘটনা তদন্তে সহায়তার জন্য ভারতের ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ডের একটি বিশেষ তদন্ত দলের ঢাকা আসার খবর নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে৷ ওদিকে এ দু'টি হামলা একই চক্রের বলে মনে করছে পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগ৷

https://p.dw.com/p/1JLvx
ছবি: picture-alliance/dpa

গুলশান এবং শোলাকিয়ার ঘটনা তদন্তে বাংলাদেশে ভারতের ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড (এনএসজি)-এর একটি বিশেষ তদন্ত টিমের সদস্যরা ঢাকায় আসছেন বলে একদিন আগে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম খবর দিলেও, একদিন পর ভারতীয় সংবাদমাধ্যম খবরটিকে গুজব বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে৷ এ নিয়ে ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাসের ডেপুটি হাইকমিশনার ড. আদর্শ সোয়াইকা ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘এ বিষয়ে কোনো তথ্য আমাদের জানা নেই৷ এনএসজি-র সদস্যরা আসবেন কি আসবেন না – এখনও পর্যন্ত আমার কাছে এ সংক্রান্ত কোনো খবরই নেই৷''

এদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ভিকা স্বরূপকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, ‘‘ভারতের এনএসজি টিম বাংলাদেশে আসার যে খবর সংবাদমাধ্যমে ছাপা হয়েছে, তা সঠিক নয়৷ ভারত থেকে বাংলাদেশে কোনো নিরপত্তা টিম যাওয়ার খবর ভুয়া৷''

অথচ ঠিক একদিন আগে ভারতের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদ সংস্থা পিটিআই জনিয়েছিল, ‘গুলশান ও শোলাকিয়ার হামলা তদন্তে এনএসজি-র একটি দলকে বাংলাদেশে পাঠাতে সম্মত হয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার৷' তারা জানায়, ‘বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এনএসজি-কে তদন্তের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার অনুরোধ বিবেচনায় নেওয়ার পরই ভারত তাদের ঢাকায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়৷'

খবরে আরো বলা হয়, ঘটনার প্রাথমিক তদন্তের কাজে তারা বাংলাদেশে যাচ্ছেন৷ গুলশানে সংঘটিত হামলার ‘স্পট' খতিয়ে দেখবে তারা৷ সে সময় বাংলাদেশের কমান্ডো গার্ডরা নাকি তাদের সঙ্গে থাকবেন৷ তারপর শোলাকিয়ায় গিয়ে সেখানকার ঘটনার তদন্তও করবেন৷ ঘটনার ‘বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা' করতে সামনে বেশ কিছুদিন ঢাকায় থাকবেন তাঁরা৷

খবরে বলা হয়েছিল, ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ডের সদস্যরা শুক্রবার বাংলাদেশে আসবেন৷ কিন্তু ডয়চে ভেলের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সূত্রে যোগাযোগ করে কোনো ভারতীয় নিরাপত্তা টিমের আসারই খবর জানা যায়নি৷ বার বার যোগাযোগ করেও এ বিষয়ে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি৷

বাংলাদেশের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবে ভারত

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ শুক্রবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীকে লেখা এক চিঠিতে জানান, ‘‘সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় বাংলাদেশের সঙ্গে থাকবে ভারত৷ কাজ করবে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে৷''

ঐ চিঠিতে তিনি বলেন, ‘‘ভারত সরকারের পক্ষ থেকে আমি এই হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি৷ হামলায় নিহতদের জন্য হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে শোক ও সমবেদনা জানাচ্ছি আমি৷ আর যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি৷''

প্রসঙ্গত, ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান ক্যাফেতে হামলার ঘটনায় ২০ জন নিহত হন৷ এঁদের ন'জন ইটালীয়, সাতজন জাপনি, একজন ভারতীয়, একজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক এবং বাকি দু'জন বাংলাদেশি৷ এছাড়া দুই পুলিশ সদস্য এবং উদ্ধার অভিযানে ছ'জন জঙ্গি নিহত হয়৷

গুলশান ও শোলাকিয়ার হামলার পিছনে রয়েছে একটাই চক্র

অন্যদিকে বৃহস্পতিবার, বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ঈদ জামাতের অদূরে এক হামলায় নিহত হয় চারজন৷ ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি মাহফুজুল হক নুরুজ্জামান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘এই চারজনের মধ্যে একজন হামলাকারী৷ নাম আবির রহমান৷ ২০১০ সালে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল টিউটোরিয়াল থেকে এ লেভেল পাস করে ঢাকার নর্থ সাউথ ইউনিভর্সিটিতে পড়াশোনা করছিল সে৷ তবে গত আটমাস ধরে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না৷

মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ

শোলাকিয়ার ঘটনায় ১২ জন আহত হয়৷ আটক করা হয় আটজনকে৷ ডিআইজি জানান, ‘‘গুলশানে যারা হামলা চালিয়েছে, ধারণা করছি শেলাকিয়ায় হামলা সেই একই চক্রেরই কাজ৷ আমরা এ দু'টি ঘটনার মিল পেয়েছি৷''

শোলাকিয়ার ইমাম মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘এই ঘটনার সাথে জামাত-শিবির জড়িত থাকতে পারে৷ তবেই যে-ই থাকুক, যারা হামলা চালানোর নির্দেশ দিয়েছে তারা ইসলামের শত্রু৷ তারা তারুণদের ভুল পথে পরিচালিত করছে৷''

তবে গুলশান হামলায় জড়িত জঙ্গিরা ভারতের ড. জাকির নায়েকের অনুসারী বলে যে অভিযোগ উঠেছে, সে ব্যাপারে সরাসরি কোনো সন্তব্য করেননি শোলাকিয়ার ইমাম৷ তিনি শুধু বলেছেন, ‘‘আমি ড. জাকির নায়েকের বক্তব্য শুনিনি৷ তবে যে অভিযোগ উঠেছে তা নিয়ে তদন্ত হতে পারে৷''

বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদ প্রতিহত করার জন্য কি বিদেশি সহায়তার দরকার? লিখুন নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান