বাংলাদেশে বন্যার পানিতে ডুবে ৪৫ জনের মৃত্যু
২৪ জুন ২০২২ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের খবর অনুযায়ী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বৃহস্পতিবারের বুলেটিনে জানানো হয় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে বন্যার পানিতে ডুবে৷ এছাড়া বজ্রপাতে ১৪ জন, সাপের কামড়ে একজন এবং অন্যান্য কারণে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে৷
গত মে মাসে সিলেট অঞ্চলে বন্যা দেখা দেয়, বিরতি দিয়ে আরেক দফা বন্যাও হয়৷ সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার দেখা দেয় ভয়ঙ্কর বন্যা, যাতে তলিয়ে যায় সুনামগঞ্জ জেলাসহ সিলেটের অধিকাংশ উপজেলা ও হাওরাঞ্চল৷ এছাড়া ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায়ও বন্যা দেখা দিয়েছে৷
দেশে এখন ১৩টি জেলা বন্যাকবলিত বলে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বৃহস্পতিবারের তথ্য৷ ১০টি নদী এখন বিপৎসীমার উপর দিয়ে বইছে৷
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, গত এক মাসে মৃতদের মধ্যে ৪৮ জন সিলেট বিভাগের, ১৮ জন ময়মনসিংহ বিভাগের এবং চারজন রংপুর বিভাগের৷
গত ১৭ মে থেকে ২১ জুন পর্যন্ত বন্যার কারণে পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৪৮ জন৷ এদের মধ্যে ২ হাজার ৮৯৫ জন ভুগেছেন ডায়রিয়ায়৷ এছাড়া আরটিআইতে (শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহ) ১১৮ জন, বজ্রপাতে ১৫ জন, সাপের কামড়ে ৪, পানিতে ডোবা ৪৩ জন, চর্ম রোগে ১৯৫ জন, চোখের প্রদাহে ৭৪ জন, বিভিন্নভাবে আঘাত পেয়েছেন ৬৪ এবং অন্যান্য সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছে ৬৪০ জন৷
বন্যা তথ্য চেয়েছে মাউশি
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যাকবলিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীদের তথ্য চেয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর৷ বুধবার অধিদপ্তর থেকে আঞ্চলিক পরিচালক ও উপপরিচালকদের কাছে এ চিঠি পাঠানো হয়৷
চিঠিতে বলা হয়, জেলা বা উপজেলায় কতগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্য কবলিত এবং কতজন শিক্ষার্থী বন্যা কবলিত রয়েছে, তার তথ্য মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন উইংয়ের ই মেইল থেকে জানাতে হবে৷
জেলা ও উপজেলার সব তথ্য একত্রিত করে কলেজ পর্যায়ের তথ্য আঞ্চলিক পরিচালক ও স্কুল পর্যায়ের তথ্য আঞ্চলিক উপপরিচালকের (মাধ্যমিক) ই মেইল থেকে পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে৷ তবে বিচ্ছিন্ন কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা জেলা-উপজেলা থেকে পাঠানো তথ্য গ্রহণযোগ্য হবে না৷
এনএস/এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)