1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশে গণমাধ্যম কতটুকু স্বাধীন?

১৩ জুন ২০১৮

ডয়চে ভেলের আয়োজনে গ্লোবাল মিডিয়া ফোরামে যোগ দিতে জার্মানির বনে এসেছিলেন বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মী৷ বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এখন কোন অবস্থানে, এ নিয়ে মতামত জানিয়েছেন তাঁদের কয়েকজন৷

https://p.dw.com/p/2zVPj
Symbolbild Tag der Pressefreiheit
ছবি: AFP/Getty Images/P. Baz

ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হক বলছেন, অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বাংলাদেশের গণমাধ্যম এখন সবচেয়ে বেশি চাপের মুখে আছে৷ তাঁর মতে, অতীতে সরকারের নানারকম চাপ থাকলেও, এখন সে চাপ বহুমুখী

সৈয়দ আশফাকুল হক

তবে চাপের মুখে কাজ করায় গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে আরো সতর্ক হয়ে উঠছে বলেও মনে করে তিনি৷ তাঁর মতে এই সমস্যা শুধু একটি দেশের নয়, বরং পুরো পৃথিবীর সাংবাদিকদের কর্মক্ষেত্রে একই ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হচ্ছে৷

মত প্রকাশের স্বাধীনতা এখন হুমকির মুখে বলেও মন্তব্য করেন সৈয়দ আশফাকুল হক৷ তিনি বলেন, ‘‘শক্তিশালী সরকার ও স্বাধীন গণমাধ্যমের লড়াইয়ে সাময়িকভাবে সবসময়ই সরকার জয়ী হলেও, শেষ পর্যন্ত গণমাধ্যমেরই জয় হয়৷''

অজন্তা দেবরায়

নানা ধরনের আইনের মারপ্যাঁচ ও ভয়ভীতি দেখিয়ে মত প্রকাশের পথ রুদ্ধ করে দেয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য মানবাধিকারকর্মী ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট অজন্তা দেব রায়ের৷ চাপের মুখে, অথবা বিশেষ সুবিধা পেয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম সরকারের হয়ে কাজ করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি৷

অজন্তার অভিযোগ, মূলধারার গণমাধ্যমের বাইরে সামাজিক গণমাধ্যমে যাঁরা কথা বলতেন, তাঁদেরকেও পরোক্ষভাবে চুপ করিয়ে দেয়া হচ্ছে৷ দেশের উন্নতির ক্ষেত্রে গণমাধ্যম সম্পূর্ণ স্বাধীন না হওয়াটা বিরাট বাধা বলেও মত তাঁর৷

তবে বর্তমানে গণমাধ্যম আলাদা করে বেশি কোনো চাপের মধ্যে আছে বলে মনে করেন না ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের নির্বাহী সম্পাদক খালেদ মুহিউদ্দীন৷ তিনি বরং দায় বেশি দেখছেন সাংবাদিকদের৷ বিশেষ সুবিধা হাসিলের জন্য, বা অন্য কোনো কারণে সংবাদ সেল্ফ সেন্সর করে থাকেন বলেও মন্তব্য তাঁর৷

খালেদ মুহিউদ্দীন

বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজের সমস্যাকে প্রফেশনাল হ্যাজার্ড হিসেবে মেনে নিয়েই সাংবাদিকদের প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান তাঁর৷ এগুলো মোকাবেলা করে এগিয়ে যাওয়ার সাংবাদিকদের চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন তিনি৷

খালেদ মুহিউদ্দীন মনে করেন, নানা ধরনের চাপ অতীতে যেমন ছিল, এখনও তেমনই আছে, তবে সাংবাদিকদের টুঁটি চেপে ধরার মতো পরিস্থিতি এই মুহূর্তে বাংলাদেশে নেই বলে মন্তব্য তাঁর৷

এ  বিষয়ে আপনার মতামত লিখুন নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য