বাংলাদেশকে তিন কোটি ভ্যাকসিন দেবে ভারত
৬ নভেম্বর ২০২০কিছুদিন আগে ঢাকায় গিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলে এসেছিলেন, বাংলাদেশকে করোনা ভ্যাকসিন দেবে ভারত। এ বার সেই ভ্যাকসিন দেয়া নিয়ে সমঝোতাপত্রে সই করল ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট এবং বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড। ঢাকায় এই সমঝোতাপত্র সই হয়েছে।
এর ফলে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনবাজারে এলেই তিন কোটি ডোজ পেয়ে যাবে বাংলাদেশ। প্রত্যেককে দুইটি করে ডোজ নিতে হবে। ফলে বাংলাদেশের দেড় কোটি মানুষ ভ্যাকসিন নিতে পারবেন। প্রতিটি ডোজের দাম পড়বে পাঁচ ডলার। অর্থাৎ, মাথাপিছু দশ ডলার খরচ হবে। তার মানে এক হাজার টাকার কমেই একেক জনের ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা হয়ে যাবে।
বাংলাদেশই প্রথম প্রতিবেশী দেশ, যাদের সঙ্গে ভ্যাকসিন দেয়ার চুক্তি হলো ভারতের। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার মতে, এতে বাংলাদেশকে যে ভারত কতটা গুরুত্ব দেয়, তা পরিষ্কার হলো। ভারত বাকি প্রতিবেশী দেশের অনেককেই ভ্যাকসিন দেবে। এর জন্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি দল গঠন করা হয়েছিল। তাঁরা গত মাসের মাঝামাঝি বাংলাদেশেও গিয়েছিলেন। ভ্যাকসিন কী ভাবে সংরক্ষণ করতে হবে তা তাঁরা বুঝিয়ে দিয়ে এসেছেন।
প্রশ্ন হলো, কবে বাজারে আসবে এই ভ্যাকসিন? সিরাম ইন্সস্টিটিউটের প্রধান আদার পুনেওয়ালা সম্প্রতি মিন্ট সংবাদপত্রকে সাক্ষাৎকার দিয়ে বলেছেন, ভারতে আগামী জানুয়ারিতেই ভ্যাকসিন এসে যাবে। তা হলে সেই সময় বাংলাদেশেরও তা পাওয়ার কথা। কিন্তু অক্সফোর্ডের এই ভ্যাকসিন সিরামের সঙ্গে যৌথভাবে বানাচ্ছে ব্রিটিশ সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা। তারা জানিয়েছে, ভ্যাকসিন বাজারে আসতে সামান্য একটু দেরি হবে। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ৩০০ কোটিরও বেশি ভ্যাকসিন দেয়ার ব্যাপারে চুক্তি হয়েছে এই ব্রিটিশ সংস্থার। পুনেওয়ালা আগে বলেছিলেন, চলতি বছরের মধ্যেই ভ্যাকসিন এসে যাবে। এখন তিনি জানুয়ারির কথা বলছেন। তাই এই সময়সীমা বাড়তেও পারে।
বিহার নির্বাচনের প্রচারে বিজেপি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, সবাইকে বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন দেয়া হবে। সেই সিদ্ধান্ত নেয়া হলে সেটা শুধু বিহার নয়, সারা দেশেই কার্যকর হবে। সেক্ষেত্রে ভ্যাকসিন নিতে কারও কোনো পয়সা লাগবে না।
আগামী বছরের গোড়ায় অ্যামেরিকা ও চীনের ভ্যাকসিনও বাজারে এসে যেতে পারে। ভারতের আরো দুইটি ভ্যাকসিনেরও তৃতীয় পর্য়ায়ের ট্রায়াল চলছে। সেই দুটিও কিছুদিনের মধ্যে বাজারে এসে যেতে পারে বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্র জানাচ্ছে।
জিএইচ/এসজি(পিটিআই, ইন্ডিয়া টুডে)