বাংলাদেশ সফরে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী
২০ জুন ২০১২এই সফরের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেছেন জার্মানিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মসুদ মান্নান৷ তিনি মনে করিয়ে দেন, ২০১২ সালে বাংলাদেশ ও জার্মানির মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৪০ বছর উদ্যাপিত হচ্ছে৷ এমনই এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে বাংলাদেশ সফরে যাচ্ছেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী৷ দ্বিপাক্ষিক রাজনৈতিক সম্পর্ক অত্যন্ত মধুর৷ অর্থনৈতিক সম্পর্কের আরও বিকাশের উদ্যোগ চলছে৷
গত কয়েক বছর ধরে দুই দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের সরকারি সফরের সংখ্যা বেড়ে চলেছে৷ গত বছরের শেষ দিকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জার্মানি সফর করেন৷ তার ঠিক পরেই জার্মানির তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিয়ান ভুল্ফ বাংলাদেশ সফরে যান৷ তারও আগে গত বছরের জুন মাসে বাংলাদেশে যান জার্মানির উন্নয়ন সাহায্য মন্ত্রী ডির্ক নিবেল৷
ঢাকায় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ছাড়াও দুই দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে, জানালেন রাষ্ট্রদূত মান্নান৷ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গেও আলোচনা করবেন ভেস্টারভেলে৷
জার্মানি কীভাবে ইউরো সংকটের মোকাবিলা করছে, সেবিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভেস্টারভেলে৷ জার্মানির বেশ কিছু রাজনৈতিক দলের ফাউন্ডেশন বাংলাদেশে স্থায়ী দপ্তর খোলার উদ্যোগ নিচ্ছে৷ উদারপন্থী এফডিপি দলের ঘনিষ্ঠ ফ্রিডরিশ নাউমান ফাউন্ডেশন দপ্তর খোলার অনুমোদন পেয়ে গেছে৷ বাকিদের ক্ষেত্রেও প্রক্রিয়াটি তরান্বিত করার উদ্যোগ চলছে৷
জার্মানি জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংগঠনে বিশেষভাবে সক্রিয়৷ সেই সব সংস্থার পরিষদ বা অন্য কোনো অঙ্গ সংগঠনে জার্মানির নির্বাচনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সমর্থনও চাইছে জার্মানি৷
সাক্ষাৎকার: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ