বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সীমান্ত হাট চালু
২৩ জুলাই ২০১১বহুল আলোচিত সীমান্ত হাটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিল বর্ণিল আয়োজন আর উৎসাহ উদ্দীপনা৷ বাংলাদেশের কুড়িগ্রামের বালিয়ামারী সীমান্ত এবং ভারতের মেঘালয় রাজ্যের কালাইচর সীমান্ত এলাকার জিরো পয়েন্টে ১৫০ গজ এলাকার মধ্যে জিঞ্জিরাম নদীর তীরে এই হাট বসেছে৷ প্রাথমিকভাবে এই হাটে দুই দেশের ৪৭ ধরণের পণ্য বিক্রি হবে৷ এগুলো প্রধানত কৃষি, ভোগ্য এবং হস্তশিল্পজাত পণ্য৷ মোট আটটি ছাউনিতে দুই দেশের ৫০ জন ব্যবসায়ী পন্য বেঁচতে পারবেন৷ আর ক্রেতা হবেন মোট ৬শ'৷ দুই দেশ থেকেই ক্রেতা বিক্রেতার অনুপাত হবে সমান৷ তাদের সবার অনুমতিপত্র লাগবে৷ হাট বসবে প্রতি বুধবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত৷ বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন এই ধরনের হাট সীমান্তে চোরাচালান বন্ধে ভূমিকা রাখবে৷ আর পর্যায়ক্রমে আরো সীমান্ত হাট চালু করা হবে৷
সীমান্ত হাটে বাংলাদেশের মূদ্রা টাকা এবং ভারতীয় রুপি দুটোই চলবে৷ তবে কেউ ৫০ ডলার বা তিন হাজার টাকার বেশি পণ্য কিনতে পারবেন না৷ হাটের নিরাপত্তায় থাকবে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি এবং বিএসএফ-এর সদস্যরা৷ ভারতের শিল্প বাণিজ্যমন্ত্রী আনন্দ শর্মা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বলেছেন এই হাট দুই দেশের সহযোগিতার ক্ষেত্রে নতুন দুয়ার খুলে দিয়েছে৷ ভারত বাংলাদেশকে তার প্রযুক্তি এবং উন্নয়ন সহযোগিতা দিতে চায়৷
গত বছরের প্রথমদিকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় সীমান্ত হাট স্থাপনের কথা হয়৷ আর চুক্তি হয় ওই বছরের ২৩শে অক্টোবর৷ চুক্তি অনুযায়ী আরেকটি সীমান্ত হাট স্থাপন করা হবে বাংলাদেশের সুনামগঞ্জের লাউঘর এবং খাসিয়া পাহাড়ের বালাট সীমন্তে৷ এই দুটি হাটের অভিজ্ঞতা থেকে পরে আরো সীমান্ত হাট স্থাপনের পরিকল্পনা আছে৷ ১৯৭২ সালে প্রথম বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বর্ডার ট্রেড প্যাক্ট নামে একটি বানিজ্য চুক্তি হয়েছিল৷ পরবর্তীতে পণ্য পাচারের অভিযোগে বাংলাদেশ ওই চুক্তি বাতিল করে৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম