বাংলাদেশ ছাড়লো দুর্বল ফণী
৪ মে ২০১৯ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাত মোকাবিলায় বাংলাদেশে আগেভাগেই ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়৷ ঘূর্ণিঝড়টি শনিবার বাংলাদেশ অতিক্রম করার আগেই বেশ কয়েকলাখ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়৷ তা সত্ত্বেও ঘূর্ণিঝড়ে গাছ ভেঙ্গে ও ঘর চাপা পড়ে দেশটিতে অন্তত পাঁচ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে৷
গত কয়েকদিন ধরে দক্ষিণ এশিয়ার গণমাধ্যমে স্থান করে নেয়া ঘূর্ণিঝড়টি শুক্রবার ভোরে ভারতের ওড়িশায় আঘাত হানে৷ এরপর সেটি স্থলভাগের উপর দিয়ে বাংলাদেশে পৌঁছাতে পৌঁছাতে স্বাভাবিকভাবেই অনেকটাই দুর্বল হয়ে যায়৷ দেশটিতে অবস্থানকালে ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ ছিল ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটারের মধ্যে৷
বাংলাদেশের আবহাওয়া বিভাগের পরিচালক সামসুদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘‘বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের যে আশঙ্কা করা হয়েছিল তা অনেকটাই কেটে গেছে, কেননা ঘূর্ণিঝড়টি দুর্বল হয়ে গেছে৷''
তবে, ঘূর্ণিঝড় ও অমাবস্যার কারণে উপকূলীয় অঞ্চলে বেশ কিছু এলাকায় পানি ঢুকে পড়ায় অনেক মানুষ ভোগান্তির শিকার হয়েছেন বলে দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন৷ ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে অন্তত ৫০০ ঘরবাড়ি ভেঙ্গে গেছে৷ রবিবার অবধি সারা দেশে বৃষ্টি ও ঝড়ো হওয়া বইতে পারে বলেও জানা গেছে৷
ইতোমধ্যে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া মানুষেরা ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন বলেও স্থানীয় গণমাধ্যমের সূত্রে জানা গেছে৷ পাশাপাশি বিভিন্ন বন্দরের সতর্ক সঙ্কেতও কমিয়ে আনা হয়েছে৷
উল্লেখ্য, বঙ্গোপসাগরে এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর অবধি সময়কে সাইক্লোনের মৌসুম হিসেবে বিবেচনা করা হয়৷ ১৯৯৯ সালে ওড়িশায় সাইক্লোনের আঘাতে অন্তত দশ হাজার ব্যক্তি নিহত হন৷ বাংলাদেশে ২০০৭ সালে সাইক্লোন সিডরের আঘাতে প্রাণ হারান অন্তত সাড়ে তিন হাজার মানুষ৷ কিন্তু বর্তমানে প্রযুক্তির উন্নতির কারণে সাইক্লোন সম্পর্কে আরো আগাম ও নিখুঁত তথ্যপ্রাপ্তির পথ সুগম হয়েছে৷ ফলে আগাম প্রস্তুতি নেয়ায় প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রাণহানি আগের চেয়ে অনেক কমানো সম্ভব হচ্ছে৷
এআই/জেডএ (রয়টার্স, এএফপি)