1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশ এখন রোহিঙ্গাদের ‘বোঝা’ মনে করতেই পারে

৯ সেপ্টেম্বর ২০২২

আচ্ছা কাল থেকেই যদি রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরতে শুরু করে তাহলে ১২ লাখ রোহিঙ্গার ফিরতে কতদিন লাগবে?

https://p.dw.com/p/4GdGb
কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প
কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পছবি: AFP/Getty Images

চলুন, অঙ্কটা মেলানোর চেষ্টা করি৷ ২০১৭ সালের আগস্টের শেষে জীবন বাঁচাতে পাঁচ মাসের মধ্যে সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছিল৷ এর আগেই বাংলাদেশে ছিল চার লাখ৷ গত এক বছরে জন্ম নিয়েছে আরো এক লাখ৷ সব মিলিয়ে ১২ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গার ফেরাটা তো আর গণহারে হবে না, হবে আন্তর্জাতিক রীতি-নীতি অনুযায়ী৷

২০১৮ সালের জানুয়ারিতে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যেকার চুক্তি অনুযায়ী, প্রতিদিন ৩০০ রোহিঙ্গাকে ফেরত নেওয়ার কথা৷ সে অনুযায়ী, কাল থেকে যদি অব্যাহতভাবে বছরের ৩৬৫ দিন ৩০০ করে রোহিঙ্গা ফেরে, তাহলে বছরে ফিরবে এক লাখ৷ এই হিসেবে ১২ লাখ লোকের ফিরতে লাগবে অন্তত ১২ বছর৷

সাপ্তাহিক ছুটির কারণে সপ্তাহের দুদিন যদি প্রত্যাবাসন বন্ধ থাকে, তাহলে সময় লাগবে ১৫ বছর৷ আর যদি দিনে ৩০০-র বদলে ২০০ জন করে ফেরে, তাহলে সময় লাগেব প্রায় ২৪ বছর৷ কিন্তু এই সময়ে নতুন করে কত শিশুর জন্ম হবে?

সহজ অঙ্কটা বেশ জটিল হয়ে গেল, তাই না? আর সেই জটিলতায় যদি যোগ হয় এমন বাস্তবতা যে, গত পাঁচ বছরে একজনও ফেরেনি, কবে থেকে ফিরবে কেউ জানে না, এমনকি আদৌ ফিরবে কিনা তা-ও জানা নেই- তাহলে সামনে আসে কেবলি এক অনিশ্চয়তা৷ আর সেই অনিশ্চয়তায় সামনে দাঁড়িয়ে ১২ লাখ রোহিঙ্গা৷ বিপুল সংখ্যক এই মানুষকে নিয়ে বাংলাদেশও অনিশ্চয়তায়৷

প্রত্যাবাসনই যে এই সংকটের সমাধান- সবাই তা জানেন, কিন্তু কীভাবে সেটা হবে জানে না কেউ৷ পৃথিবীর সব সংকটের সমাধানের দায়িত্ব যে প্রতিষ্ঠানের, সেই জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস তো বলেই দিলেন, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের শিগগিরই নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন না তিনি৷

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর দমন-নিপীড়ন শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী৷ এর জেরে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা৷ নিপীড়নের ওই ঘটনার পাঁচ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বিবৃতিতে গত ২৫ আগস্ট এমন কথা বলেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব৷

জাতিসংঘ মহাসচিব বিবৃতিতে বলেন, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর দেশটির মানবাধিকার ও নিরাপত্তা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে৷ এই প্রেক্ষাপটে রোহিঙ্গা সংকটের পরিপূর্ণ, টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাধানের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এগিয়ে আসা জরুরি৷

কিন্তু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কি আদৌ এগিয়ে আসবে? যদি আসতোই তাহলে তো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে বলতে হতো না, মিয়ানমার থেকে আসা ১১ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশের জন্য বোঝা হয়ে উঠেছে!

ভারত সফরের আগে গত ৪ সেপ্টেম্বর দেশটির সংবাদমাধ্যম এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনালকে (এএনআই) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই মন্তব্য করেন৷ প্রধানমন্ত্রী বলেন, "মানবিক কারণে আমরা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিই৷ কিন্তু তারা কত দিন এখানে থাকবে? রোহিঙ্গা শিবির এলাকায় পরিবেশগত ঝুঁকি তৈরি হয়েছে৷ সেখানে কেউ মাদক কারবারি, কেউ সশস্ত্র সংঘাত, কেউ নারী পাচারে জড়িয়ে পড়েছে৷ দিন দিন তা বেড়েই চলেছে৷ তাই তারা যত তাড়াতাড়ি দেশে ফিরবে, তা বাংলাদেশের জন্য মঙ্গল, মিয়ানমারের জন্যও মঙ্গল৷''

তবে সেই মঙ্গলটা আদৌ কোনোদিন হবে কিনা সেটাই এখন প্রশ্ন৷ সাংবাদিক হিসেবে বাংলাদেশে থাকা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে গত দুই দশক ধরে যেমন কথা হয়েছে, তেমনি ১৫ বছর আগে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যেও গিয়েছিলাম৷ মানুষ কতভাবে নির্যাতিত হতে পারে- রোহিঙ্গাদের মুখে সরাসরি শুনেছিলাম সেবার৷

আসলে নিপীড়িত ও অত্যাচারিত এক জাতিসত্তার নাম রোহিঙ্গা৷ শত বছর ধরে তাদের সঙ্গে অন্যায় আচরণ করা হচ্ছে৷ মিয়ানমারের সেনারা তো সেই ষাটের দশক থেকেই রোহিঙ্গা নিপীড়ন করছে৷ ১৯৭৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারের উত্তর রাখাইনে সেনা অভিযান শুরু হলে গ্রেপ্তার ও নির্যাতনের ভয়ে তিন মাসের মধ্যে দুই থেকে আড়াই লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে৷ এরপর দুই দেশের মধ্যে চুক্তির ভিত্তিতে তখন রোহিঙ্গারা নিজভূমে ফিরে গিয়েছিল৷

কথা ছিল, রাখাইনে ফিরলে সব অধিকারই ফিরে পাবে তারা৷ বাস্তবে ঘটে উল্টোটা৷ চার বছর পর ১৯৮২ সালে মিয়ানমারের নাগরিকত্ব আইনে পরিবর্তন আনা হয়৷ এতে রোহিঙ্গারা আর মিয়ানমারের নাগরিক থাকলো না৷ সবশেষ ২০১৫ সালের আইনে রোহিঙ্গাদের ভোটাধিকারও কেড়ে নেওয়া হয়৷ এর আগে-পরে নানা সময়ে নিপীড়ন তো চলেছেই৷

২০১৭ সালের ঘটনা তো সবারই জানা৷ ওই বছরের ২৫ আগস্ট রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর হামলা শুরু করে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী৷ জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমার সেনাদের অভিযানে ১০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা নিহত হয়, ৭ লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়৷

রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়নের পাঁচ বছর পুর্তিতে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডাব্লিউ) বলেছে, ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা কয়েকশ' রোহিঙ্গার সঙ্গে কথা বলেছে তারা৷ তাদের ভাষ্যমতে, রাখাইনের গ্রামগুলো জ্বালিয়ে দেওয়ার আগে হত্যা ও ধর্ষণ করেছিলেন সামরিক বাহিনির সদস্যরা৷ তখন প্রায় ৪০০ রোহিঙ্গা গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়, হত্যা করা হয় কয়েক হাজার রোহিঙ্গাকে৷

তবে এসব ঘটনায় কারো বিচার হয়নি৷ রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতা চালানোর অভিযোগ এনে ২০১৯ সালের নভেম্বরে নেপিদোর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করেছিল গাম্বিয়া৷ সেই মামলার এখনো বিচার চলছে৷ তবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের কোনো অগ্রগতি নেই৷

অথচ আগস্টে রাখাইন থেকে রোহিঙ্গাদের বিতাড়নের মাত্র তিন মাসের মাথায় ২০১৭ সালের নভেম্বরে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশ চুক্তি সই করেছিল৷ এর নেপথ্যে ছিল চীন৷ কিন্তু কোনো রোহিঙ্গা ফেরেনি৷ এরপর ২০১৮ সালে ফের চুক্তি হয়৷ কিন্তু কোনো রোহিঙ্গা ফেরেনি৷ ২০১৯ সালের আগস্টে দ্বিতীয় দফায় প্রত্যাবাসনের চেষ্টা হলেও ভেস্তে যায়৷ ফলে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গার চাপ নিতে হচ্ছে বাংলাদেশকে৷ পরিবেশ থেকে শুরু করে পযর্টন, অর্থনীতি থেকে শুরু করে রাজনীতি সব ক্ষেত্রেই এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে৷

বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি আশ্রয়শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা সাড়ে ১২ লাখ৷ এর মধ্যে আশ্রয়শিবিরে ৬ থেকে ১৪ বছর বয়সি শিশুর সংখ্যাই ৫ লাখ৷ প্রতিবছর ক্যাম্পে নতুন করে ৩০ হাজার শিশু যুক্ত হচ্ছে৷ বিয়েও হচ্ছে ব্যাপক হারে৷ এভাবে নতুন-পুরোনো মিলে প্রতিদিন রোহিঙ্গার সংখ্যা বাড়ছেই৷ ক্যাম্পে গেলেই চোখে পড়বে এই শিশুদের, যাদের ভবিষ্যৎ অজানা৷ সব দিক বিবেচনা করেই হয়ত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এখন রোহিঙ্গাদের ‘বোঝা' বলছেন৷

প্রশ্ন হলো, এই সমস্যার সমাধান কী? বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিন্তু ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান হিসেবে পাঁচ দফা পরিকল্পনা তুলে ধরেছিলেন৷ তবে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে গত পাঁচ বছরে কোনো অগ্রগতি ঘটেনি৷

এর মধ্যে গত বছর মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর সেখানকার সার্বিক পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে৷ প্রায়ই হতাহতের ঘটনা ঘটছে৷ আর গত কয়েক দিন ধরে তো মিয়ানমার থেকে ছোঁড়া মর্টার শেল বাংলাদেশের সীমান্তে এসে পড়েছে৷ ভাব দেখলে মনে হয়, বাংলাদেশের সঙ্গে তারা যুদ্ধ লাগাতে চায়৷ সব মিলিয়ে সমাধান কী কেউ জানে না৷

এতকিছুর পরেও বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণ অবস্থানে থেকে দ্বিপাক্ষিক তৎপরতার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক নানা ফোরামেও কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে৷ কিন্তু সমাধান নেই৷ বারবার আশ্বাস দিদলেও না  চীন, না ভারত কেউই এ ব্যাপারে মিয়ানমারে যথেষ্ট চাপা সৃষ্টি করেনি৷ বরং রোহিঙ্গা নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বক্তব্য শুধুমাত্র বিবৃতি আর কথাতেই সীমাবদ্ধ থেকেছে৷

শরিফুল হাসান, কলামিস্ট
শরিফুল হাসান, কলামিস্টছবি: Privat

জাতিসংঘের মহাসচিবের কথাতেও সেটি উঠে এসেছে৷ রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে মিয়ানমারের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ সন্তোষজনক নয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস৷ নির্যাতিত এসব মানুষের নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে তাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে আরো জোরালো ভূমিকা পালনের অনুরোধ জানিয়ছেন তিনি৷

সংকটের পাঁচ বছর পুর্তিতে যুক্তরাজ্য, ক্যানাডা, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, স্পেন, সুইডেন ও সুইজারল্যান্ড এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন যৌথ বিবৃতি দিয়েছে৷ তারা বলেছে, তারা রোহিঙ্গা সংকট এবং এর কারণগুলোর দীর্ঘমেয়াদি সমাধানে অব্যাহতভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাবে৷ সর্বশেষ ভারতের প্রধানমন্ত্রীও সেই কথাই বললেন৷  কিন্তু আশ্বাস আর বিবৃতি দেওয়াটাই কি সমাধান?

ওদিকে পাঁচ বছর পূর্তিতে দেওয়া এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে নেওয়া হবে৷ তবে কবে থেকে কতজন রোহিঙ্গাকে যুক্তরাষ্ট্রে নেওয়া হবে, সে বিষয়ে কিছু বলেননি তিনি৷ ফলে সংকট সমাধানের কোনো রূপরেখা নেই৷ ফলে পুরো বিষয়টিকে বাংলাদেশ এখন ‘বোঝা’ মনে করতেই পারে৷

এখন প্রশ্ন হলো, বাংলাদেশ প্রত্যাবসনের জন্য অনন্তকাল অপেক্ষা করবে, নাকি বিকল্প কিছু ভাববে? এত বড় একটা জনগোষ্ঠীকে কতদিন দেখভাল করবে বাংলাদেশ? আর যেহেতু আশ্রয় দেওয়া হয়েছে মানবিক দিক বিবেচনা করে, কাজেই তাদের কম-বেশি দেখভাল তো করতেই হবে৷ কিন্তু ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের পর তো আন্তর্জাতিক সহায়তাও কমছে৷ তারপরেও দেশি-বিদেশি সব সংস্থা মিলে তো চেষ্টাটা করছে৷ এত অল্প জায়গায় এত বিপুল পরিমান রোহিঙ্গার দেখভাল করাটা তো ভয়াবহ কঠিন কাজ৷

ওদিকে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে ভাষা ও চেহারায় মিল থাকায় কক্সবাজার জুড়ে স্থানীয় সমাজে রোহিঙ্গারা মিলেমিশে যাচ্ছে৷ প্রশ্ন হলো, এভাবেই চলবে, নাকি প্রত্যাবাসনের চেষ্টার পাশাপাশি বিকল্প কিছু ভাববে বাংলাদেশ? আচ্ছা, যে রোহিঙ্গারা ‘বোঝা’, তাদের কি কোনোভাবে কাজে লাগানো যায়? এসব প্রশ্নের খুব সহজ উত্তর নেই৷ কিন্তু সেই উত্তরটা খুঁজতে হবে সবাই মিলে, নয়তো আজকের যে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের সমস্যা, একদিন তারা এই অঞ্চলের সমস্যা হয়ে উঠবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য