1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব়্যাবের দুই কর্মকর্তা রিমান্ডে

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১৭ মে ২০১৪

নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনায় গ্রেফতারের পর ব়্যাবের দুই সাবেক কর্মকর্তাকে পাঁচ দিনের পুলিশ রিমান্ডে নেয়া হয়েছে৷ তবে আরেক কর্মকর্তাকে শনিবার বিকেল পর্যন্ত খুঁজে পায়নি পুলিশ৷

https://p.dw.com/p/1C1gv
Rapid Action Battalion RAB Spezialeinheit Militär Dhaka Bangladesh
ফাইল ফটোছবি: Getty Images/AFP

দু'জনকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করে পুলিশ আদালতকে জানিয়েছে, নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের সঙ্গে তাদের জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে৷

হাইকোর্টের নির্দেশের ৬ দিন পর শনিবার ভোর রাতে ব়্যাব-১১ এর সদ্য সাবেক দুই কর্মকর্তাকে সেনানিবাসের ‘লগ এরিয়া' থেকে মিলিটারি পুলিশের সহায়তায় গ্রেফতার করে পুলিশ৷ শনিবার তাদের আদালতে হাজির করে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানালে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন৷ গ্রেফতারকৃতরা হলেন ব়্যাব-১১ এর সাবেক অধিনায়ক লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ এবং মেজর আরিফ হাসেন৷ কিন্তু একই ঘটনায় নৌ বাহিনীর কর্মকর্তা লে. কমান্ডার এম এম রানাকে এখনো গ্রেফতার করা যায়নি৷

বাংলাদেশের স্থানীয় সময় শনিবার দুপুর দুইটার দিকে আটক হওয়া দুই ব়্যাব কর্মকর্তাকে নারায়ণগঞ্জের আদালতে হাজির করা হলে তাদের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না৷ পুলিশের পক্ষে আদালতকে জানানো হয়, দুই কর্মকর্তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে৷ নরায়ণগঞ্জের সাতজনকে অপহরণ এবং হত্যার ঘটনায় ব়্যাবের এই দুই কর্মকর্তার জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে৷ এনিয়ে আরো বিস্তারিত তথ্য ও প্রমাণের জন্য তাদের জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন৷

Rapid Action Battalion RAB Spezialeinheit Militär Dhaka Bangladesh
ব়্যাবের দুই সাবেক কর্মকর্তাকে পাঁচ দিনের পুলিশ রিমান্ডে নেয়া হয়েছে (প্রতীকী ছবি)ছবি: Getty Images/AFP

‘৬ কোটি টাকা ঘুস'

গত ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম এবং আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়৷ ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদীতে তাদের লাশ ভেসে ওঠে৷ এরপর নজরুলের শ্বশুর শহিদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, নজরুলের প্রতিপক্ষের কাছে থেকে ৬ কোটি টাকা ঘুস নিয়ে ব়্যাবের ঐ তিন কর্মকর্তা সাতজনকে অপহরণ ও হত্যা করেছে৷ এই অভিযোগ ওঠার পরপরই অবশ্য পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেনি৷ তবে তাদের ব়্যাব থেকে প্রত্যাহার করে সেনা ও নৌ বাহিনী থেকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়৷

হাইকোর্ট গত ১১ মে তিন ব়্যাব কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেয়৷ আদেশে বলা হয়, তাদের বিরুদ্ধে কোন সুনির্দষ্ট মামলা না থাকলে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করতে হবে৷ হাইকোর্টের আদেশের ৬ দিন পর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সেনা সদর দপ্তরের অনুমতি নিয়ে তাদের মধ্যে দুই জনকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেয়া হলো৷ কিন্তু নৌ বাহিনীর লে. কমান্ডার এম এম রানাকে গ্রেফতার করা যায়নি৷ পুলিশ জানায়, তাঁকে অবসর দেয়ার পর তিনি আবাসস্থল থেকে পালিয়েছেন৷ তবে তাকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে৷ এম এম রানা ব়্যাব-১১ এর নারায়ণগঞ্জ ক্যাম্পের প্রধান ছিলেন৷

ব়্যাবের ক্যাম্প তল্লাশির দাবি

নিহত নজরুলের শ্বশুর শহিদুল ইসলাম ডয়চে ভেলের কাছে দাবি করেন, ‘‘অপহরণের পর নারায়ণগঞ্জ ক্যাম্পে নিয়েই সাতজনকে হত্যা করে লাশ নদীতে ফেল দেয়া হয়৷''

তিনি বলেন, ‘‘লাশ নদীতে ডুবিয়ে দেয়ার জন্য যেসব বস্তা, ইট এবং দড়ি ব্যবহার করা হয়েছে তা সবই নারায়ণগঞ্জ ক্যাম্পের৷'' তার দাবি, ‘‘রানাকে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেয়া হয়েছে৷ তাকে গ্রেফতার করা না হলে অনেক তথ্য জানা যাবে না৷''

শহিদুল ইসলাম একই সঙ্গে হত্যার আলামত উদ্ধারে নারায়ণগঞ্জ ক্যাম্পে তল্লাশির দাবি জানান৷ তিনি অভিযোগ করেন, একইভাবে প্রধান আসামি নূর হোসেনেকেও পলাতে সহায়তা করা হয়েছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য