‘ব়্যাবের দায়মুক্তির বিধান নাই'
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৪তথ্যমন্ত্রী বলেন,‘এলিট ফোর্স' বা ‘‘ব়্যাবের দায়মুক্তির কোনো বিধানই নেই৷ আর ব়্যাবের দায়মুক্তির আইন তৈরি করার কোনো পরিকল্পনাও আমাদের নেই৷''
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রস্তাবে সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশের সমন্বয়ে গঠিত এবং ‘ডেথ স্কোয়াড' হিসেবে পরিচিত ব়্যাব সদস্যদের দায়মুক্তি দেয়া বন্ধ করতে সরকারের প্রতি জোরালো আহ্বান জানান হয়৷ এর অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের ঘটনায় ব়্যাব সদস্যদের জড়িত থাকার অভিযোগের তদন্ত-প্রক্রিয়া নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করার কথা বলে তারা৷ একই সঙ্গে যুক্তিগ্রাহ্য ফৌজদারি অপরাধ না থাকলে আটক ও গুম হওয়া ব্যক্তিদের অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার আহ্বানও জানানো হয়৷
ইউরোপীয় পার্লামেন্টে বাংলাদেশের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে আনা একটি যৌথ প্রস্তাব বিতর্কের পর পার্লামেন্টে গৃহীত হয়৷ বাংলাদেশ সরকার ও সংসদ, ইউরোপীয় কমিশন, কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র বিষয়ক এবং নিরাপত্তা নীতিমালা সংক্রান্ত জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যরাষ্ট্র ও তাদের পার্লামেন্টে প্রস্তাবটি পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে৷
এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘‘আমরা মনে করি, দায়মুক্তির যত বিধান আছে, সেটা অগণতান্ত্রিক৷ ইউরোপীয় পার্লামেন্টের বক্তব্য অত্যন্ত অনভিজ্ঞ ও অজ্ঞতাপ্রসূত৷ তারা বাংলাদেশ সম্পর্কে কিছুই জানে না৷ তাই এ রকম প্রস্তাব সম্পর্কের অবনতি ও বিভ্রান্তি ঘটাবে৷ এটা ক্ষতিকারক প্রস্তাব৷''
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ইউরোপীয় পার্লামেন্ট বাংলাদেশের সংবিধান সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নয়৷ তারা দেশের ও ব়্যাবের আইন পড়েনি৷ ব়্যাবকে আইনের ঊর্ধে রাখা হয়, নিরাপত্তা দেয়া হয় ব়্যাবের আইনে – এ ধরনের কোনো বিধান নেই৷ আদতে কিন্তু ব়্যাবের অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী বরখাস্ত হচ্ছেন, সাজা খাটছেন৷''
হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘‘একমাত্র রাষ্ট্রপতি ছাড়া সশস্ত্র বাহিনী, ব়্যাব, পুলিশ প্রশাসন, সরকারি কর্মকর্তা, মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী কারুরই আইনগতভাবে ক্ষমতার অপব্যহারের অভিযোগ বিচার করা যাবে না – এমন কোনো বিধান নেই৷''
তাই তথ্যমন্ত্রীর দাবি, ‘‘ইউরোপীয় পার্লামেন্ট ভুল তথ্য দ্বারা পরিচালিত হয়েছে৷''