বাংলাদেশে ‘বসন্ত’
৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৩তৃতীয় দিনে শাহবাগে মানুষের ঢল আরো বেড়েছে৷ নানা শ্রেণি, পেশা আর বয়সের মানুষ একাত্ম হচ্ছেন৷ অংশ নিচ্ছেন তরুণ প্রজন্মের এই অভূতপূর্ব জাগরণে৷ তাঁদের সবার মুখে একটিই কথা কাদের মোল্লার ফাঁসি ছাড়া ঘরে ফিরবেন না, মাঠে থাকবেন যতদিন প্রয়োজন ততদিন৷ তাঁদের দাবি সব যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি৷
বৃহস্পতিবারের সমাবেশ রাজনৈতি দলের মতো নেতাদের বক্তৃতার সমাবশে নয়৷ এই সমাবেশ মূলত একাত্মতা আর সংহতি প্রকাশ করা মানুষের আরো অধিক জমায়েত৷ আরো তীব্র করে দাবিকে তুলে ধরার সমাবেশ৷
এই সমাবেশে মেহনতি, খেটে খাওয়া মানুষও কাজ ফেলে অংশ নিয়েছেন৷ তাঁদের খাবরের জন্য অকাতরে যে যাঁর মতো তহবিলে টাকা দিচ্ছেন স্বেচ্ছায়৷
মুক্তিযোদ্ধারা ছুটে আসছেন৷ শুধু দেশের নয়, প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধারাও আসছেন৷ তাঁদের কথা, ফাঁসি না দেখে দেশ ছাড়বেন না৷ এছাড়া, বুদ্ধিজীবী আর সুশীল সমাজের নাগরিকরাও একাত্ম হচ্ছেন৷ জানাচ্ছেন সংহতি৷ তবে তাঁরা বলছেন এই আন্দোলনের নেতৃত্ব যেন ভুল কোনো হাতে না যায়৷
এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, রংপুর সহ সব বিভাগ ও জেলা শহরে৷ সেখানেও নেমেছে মানুষের ঢল৷ সিলেটে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, কাদের মোল্লার মতো যুদ্ধাপরাদীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড মেনে নেয়া যায় না৷ আর সচিবালয়ে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হন ইনু বলেছেন, জামায়াতকে কিভাবে নিষিদ্ধ করা যায় তা নিয়ে কাজ শুরু করেছে সরকার৷
আগামীকাল শুক্রবার শাহবাগে হবে মহাসমাবেশ৷ তবে শাহবাগ ছাড়ছেন না তরুণ প্রজন্ম৷ তাঁদের অবস্থান চলতেই থাকবে৷