বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের জন্য নিরাপত্তা
৩১ ডিসেম্বর ২০১৬গতবছর বর্ষবরণের রাতে কোলন, ড্যুসেলডর্ফ, হামবুর্গ, ফ্রাংকফুর্ট এবং স্টুটগার্টে অনেক নারী যৌন নিগ্রহের শিকার হন বলে অভিযোগ করেন৷ শুধু যৌন আক্রমণই নয়, অনেকের মোবাইল, পার্স এবং ব্যাগ ছিনতাইয়েরও ঘটনা ঘটে সেই রাতে৷ আর এ সব ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছিল কোলনে৷
জার্মানির কেন্দ্রীয় ক্রিমিনাল পুলিশের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, কোলনে বর্ষবরণের রাতে এবং পরবর্তী কয়েকদিনে বারোশ'র মতো অভিযোগ জানান নারীরা, যেগুলোর মধ্যে পাঁচশ'টি ছিল যৌন আক্রমণ বিষয়ক৷ কোলন ক্যাথিড্রাল এবং তৎসংলগ্ন কেন্দ্রীয় ট্রেন স্টেশনে এসব ঘটনা ঘটে৷
কোলনে একসঙ্গে অনেক নারীর যৌন আক্রমণের শিকার হওয়ার এই ঘটনা বিশ্ব গণমাধ্যমে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল৷ এবার আর সেরকম কোনো পরিস্থিত চাইছে না শহর কর্তৃপক্ষ৷ তাই বর্ষবরণের রাতে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা এবং আনন্দের সাথে নতুন বছর শুরুর ব্যবস্থা করতে উদ্যোগী হয়েছে শহর কর্তৃপক্ষ৷ আর সেই উদ্যোগের একটি হচ্ছে পুলিশের উপস্থিতি দৃশ্যমানভাবে বৃদ্ধি করা৷
কোলনের পুলিশ প্রধান ইয়ুর্গেন মাটিয়াস জানিয়েছেন, ৩১ ডিসেম্বর মোতায়েন দেড়হাজার পুলিশ সদস্যের শরীরে ‘রিফ্লিক্টিভ ভেস্ট' থাকবে যাতে তাদের উপস্থিতি পরিষ্কারভাবে বোঝা যায়৷ তিনি বলেন, ‘‘গতবছর যা ঘটেছিল তা যেন আর কখনো ঘটতে না পারে৷''
প্রসঙ্গত, গতবছর বর্ষবরণের রাতে কোলনে ১৪০ জন পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করেছিলেন৷ এব ছর সেই সংখ্যা দশগুণ বেড়ে গেছে৷ শুধু তাই নয়, কোলন ক্যাথিড্রালের কিছু অংশ সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করে সেখানে কোনোরকম আতশবাজি ফোটানো নিষিদ্ধ করা হচ্ছে৷ পাশাপাশি প্রয়োজনে ব্যাগ পরীক্ষা করার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে৷ এছাড়া মধ্যরাতের পর রাইন নদীর উপরের সেতুগুলোও কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ রাখা হতে পারে৷
পাশাপাশি কোলন ট্রেনস্টেশনের আশেপাশের অন্ধকারাচ্ছন্ন স্থানগুলোতে বাড়তি আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ এমনকি, একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ‘লাইট আর্টিস্ট'-কে দিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার স্থাপনাগুলোর উপর শৈল্পিকভাবে আলো ফেলার উদ্যোগও নেয়া হয়েছে৷
প্রতিবেদন: ডাগমার ব্রাইটেনবাখ/এআই
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ