1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বর্ণবিদ্বেষের শিকার বরিস বেকারের ছেলে

৫ জানুয়ারি ২০১৮

আবার খবরের শিরোনামে টেনিসের জার্মান কিংবদন্তি বরিস বেকার৷ তবে এবার খেলার জন্য নয়, তাঁর ছেলের সূত্রে৷

https://p.dw.com/p/2qPNz
Noah Becker
ছবি: picture alliance/app-photo/R. Mueller

বরিসের ছেলে নোয়া ডানপন্থি দল এএফডি-র এক নেতার বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দিয়েছেন৷ নোয়া জানিয়েছেন, তাঁর বাবা এবং পারিবারিক আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করেই এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন তিনি৷

অভিযোগ, এএফডি'র নেতা এবং সাংসদ ইয়েনস মায়ার নোয়ার সম্পর্কে করেছেন৷ নোয়াকে তিনি ‘লিটল হাফ নিগ্রো' বলেছেন এবং সে জন্যই নোয়ার আচরণে সমস্যা আছে বলে মন্তব্য করেছেন৷ বিষয়টি একেবারেই বর্ণবিদ্বেষী বলে মত প্রকাশ করেছেন নোয়া এবং সামাজিক পর্যবেক্ষকদের অনেকেই৷

২৩ বছরের নোয়া বেকার বরিস এবং বারবারা বেকারের ছেলে৷ বারবারার মা ছিলেন অ্যাফ্রো-অ্যামেরিকান কৃষ্ণাঙ্গ৷ বাবা জার্মান৷ সে কারণেই নোয়াকে ‘হাফ নিগ্রো' বলা হয়েছে বলে অভিযোগ৷

মায়ার জার্মানির প্রাক্তন বিচারপতি৷ গত সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি এএফডি'রপ্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন৷ এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, নোয়া ‘হাফ নিগ্রো' বলেই বাবা তাঁর প্রতি মনোযোগ দেননি৷ এ মন্তব্য মায়ারের টুইট অ্যাকাউন্টেও তুলে দেওয়া হয়৷

এএফডি'র নেতাদের বিরুদ্ধে এর আগেও বিদ্বেষী মন্তব্যের অভিযোগ উঠেছে৷ নিউ ইয়ার ইভে কোলন পুলিশের তরফ থেকে নাগরিকদের কাছে একটি মেসেজ পাঠানো হয়েছিল৷ আরবিতেও সেই মেসেজ পাঠানো হয়৷ তা দেখে ফন স্টর্চ নামে আরেক নেতা মন্তব্য করেছিলেন, তিনি অবাক৷ কেন জার্মানির একটি সরকারি দফতর আরবিতে টুইট করবে, সেই প্রশ্নই তুলেছিলেন তিনি৷ ইতিমধ্যে এমন মন্তব্যের জন্য ফনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ৷

বস্তুত, ১ জানুয়ারি থেকে জার্মানিতে একটি অ্যান্টি অনলাইন হেট স্পিচ আইন প্রণিত হয়েছে৷ সেই আইনের ভিত্তিতেই ফনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে৷ শুধু তাই নয়, আইনে বলা হয়েছে, যে সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া নেটওয়ার্ক হেট স্পিচ ডিলিট করবে না, তাদেরকে বিপুল অঙ্কের জরিমানা করা হবে৷

২০১৫ সাল থেকে জার্মানিতে বিপুল পরিমাণ শরণার্থী আসতে শুরু করেন৷ এর বিরুদ্ধে প্রচার চালিয়েই সেপ্টেম্বরের নির্বাচনে ভালো ফল করেছে এএফডি'র মতো দক্ষিণপন্থি দল৷ যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে জাতীয় নির্বাচনে কোনও দক্ষিণপন্থি দল এত ভালো করেনি৷

এসজি/এসিবি (ডিপিএ)