বর্ণবিদ্বেষের কারণে পাঁচ ম্যাচ নিষিদ্ধ
১৬ মার্চ ২০১৪এসপোর্তিভো নামের ক্লাবটিকে এ জন্য ১৩ হাজার মার্কিন ডলার জরিমানা করেছে ট্রাইব্যুনাল৷ মার্চের ৫ তারিখে রিও গ্রান্দে ডো সুল স্টেট চ্যাম্পিয়নশিপ চলার সময় একটি ম্যাচে ঐ দলের সমর্থকরা রেফারিকে ‘বানর' বলে সম্বোধন করে এবং তাকে জঙ্গলে ফিরে যেতে বলে৷ এমনকি দলের সমর্থকরা স্টেডিয়ামের বাইরে থাকা রেফারির গাড়িটিও ভাঙচুর করে এবং গাড়ির উপরে অনেকগুলো কলা রেখে দেয়৷
আশঙ্কা ছিল এ ঘটনার কারণে বড় বিপদে পড়তে পারে এসপোর্তিভো৷ পুরো বছরের আঞ্চলিক টুর্নামেন্টগুলোর জন্য নিষিদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা ছিল দলটির৷ কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতে ট্রাইব্যুনাল সিদ্ধান্ত জানায়, কেবল বেনতো গনসালভেস স্টেডিয়ামে পাঁচটি হোম ম্যাচ খেলতে পারবে না দলটি৷
তবে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের সুযোগ আছে এসপোর্তিভোর৷ এদিকে যখন শুনানি চলছিল, তখন রেফারি মার্সিও সাগাস দা সিলভা ব্রাসিলিয়ায় ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট ডিলমা রুসেফের সাথে বৈঠক করছিলেন৷ প্রেসিডেন্ট তাঁকে এবং বর্ণবিদ্বেষের শিকার আরো দুই ফুটবল খেলোয়াড়কে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন সেখানে৷ এই দুই খেলোয়াড়কেও মাঠে বানর বলে সম্বোধন করেছিল দর্শক৷ এদের একজন ক্রুজেরিও-র মিডফিল্ডার টিঙ্গা এবং অন্যজন সান্তোসের মিড ফিল্ডার আরোসা৷
সম্প্রতি খেলোয়াড়দের প্রতি বর্ণবিদ্বেষের ব্যাপারটি বেশ বড় খবর হয়ে উঠেছে ব্রাজিলের গণমাধ্যমগুলোতে৷ কেননা ব্রাজিল বিশ্বকাপের বাকি আর মাত্র তিন মাস৷ এ সব ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন প্রেসিডেন্ট স্বয়ং৷ গত সপ্তাহে বেশ কয়েকটি ম্যাচে দেখা গেছে দর্শকরা বর্ণবাদবিরোধী প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার নিয়ে খেলা দেখতে হাজির হয়েছেন৷ আগামী ম্যাচে সান্তোসের জার্সিতে লেখা থাকবে ‘ব্ল্যাক ইজ প্রাইড', অর্থাৎ কৃষ্ণবর্ণই অহংকার৷
ফিফা এরই মধ্যে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বর্ণবাদবিরোধী প্রচার শুরু করেছে৷ যেটা অনেক ক্ষেত্রে সফলও বলা যায়৷ ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট ডিলমা রুসেফও তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্টে সম্প্রতি লিখেছেন, তিনি এরই মধ্যে জাতিসংঘ এবং ফিফার সাথে কথা বলেছেন৷ ব্রাজিলে বিশ্বকাপকে কীভাবে শান্তিপূর্ণ এবং বর্ণবিদ্বেষবিরোধী করা যায়, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে তাঁদের মধ্যে৷
এপিবি/এসবি(এপি)