বর্ণবাদী বই: ক্ষমা চাইলো এএফডি
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০বর্ণবাদী ছবিসহ বই প্রকাশ করায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে এএফডি৷ বুধবার অবশেষে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হলো দলটি৷ ডয়চে ভেলেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে দলটির নর্থ রাইন-ওয়েস্টফালিয়া রাজ্য শাখা জানিয়েছে, এই ঘটনার জন্য তারা ‘আন্তরিকভাবে ক্ষমা' চাইছে৷
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘বইটির বেশিরভাগ অংশ আমাদের পরিকল্পনা অনুসারেই হয়েছে, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে কিছু অংশে আসলেই সমস্যা রয়েছে৷ আমাদের বিশ্বাসের সঙ্গে এই অংশগুলো যায় না৷''
বইটি ঠিকমতো পর্যালোচনা হওয়ার আগেই প্রকাশ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে এএফডি৷
নর্থ রাইন-ওয়েস্টফালিয়া রাজ্যে এএফডির সংসদীয় দলের প্রধান মার্কুস ভাগনার বলেছেন, ‘‘গতকাল আমি বইটির সম্পর্কে যে পর্যালোচনা করেছিলাম, তা ভুল ছিল৷ এই বই এভাবে প্রকাশ করাটা ঠিক হয়নি৷''
শুরুতে অবশ্য বইটির বিরুদ্ধে সমালোচনাকে ‘শিল্প ও বিদ্রুপ করার স্বাধীনতার ওপর আঘাত' বলে বক্তব্য দিয়েছিল দলটি৷
তদন্ত শুরু
নর্থ রাইন-ওয়েস্টফালিয়া রাজ্যের পার্লামেন্ট বুধবার জানিয়েছে, এএফডি এই বইটি প্রকাশের ক্ষেত্রে পাবলিক ফান্ড ব্যবহার করেছে কিনা, তা তদন্ত করে দেখা হবে৷
পুলিশ ও তদন্তকারীরাও এর মাধ্যমে উসকানি দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছেন৷ গত সপ্তাহে ক্রেফেল্ড শহরের এক অনুষ্ঠানে এএফডির পার্লামেন্টারি দল এই বই বিতরণ করে৷
বইটির একটি ছবিতে একটি সুইমিং পুলে বোরকা পরা নারীদের দেখানো হয়েছে৷
আরেকটি পৃষ্ঠায় দেখানো হয়েছে গাড়ি থেকে বন্দুক ও তুরস্কের পতাকা নিয়ে কয়েকজন বের হচ্ছেন৷
নর্থ রাইন-ওয়েস্টফালিয়া জার্মানির সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য এবং জাতিগত দিক দিয়েও সবচেয়ে বৈচিত্র্যপূর্ণ৷ তুরস্ক থেকে আসা অভিবাসীদের বড় একটি অংশ বাস করেন এ রাজ্যে৷
বইটির কথা জানাজানি হওয়ার পরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়৷ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ছাড়াও ক্যাথলিক চার্চও এর সমালোচনা করেছে৷
রেবেকা শ্টাউডেনমায়ার/এডিকে