1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বন্যা পেছনে ঠেলছে পাকিস্তানের অর্থনীতিকে

১০ আগস্ট ২০১০

পাকিস্তানের বন্যা আরও ভয়াবহ অবস্থার দিকে যাচ্ছে৷ জাতিসংঘ এখন ৬০ লাখ বন্যাপীড়িতের জন্য জরুরি মানবিক ত্রাণ সহায়তার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে৷ আর এ বন্যা দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে বলে ভাষ্য আইএমএফ’এর৷

https://p.dw.com/p/OhYv
ছবি: AP

লাখ লাখ মানুষ চাইছে কী করে এখন বন্যার সঙ্গে যুদ্ধ করে বাঁচা যায়, কী করে শিশু আর নারীদের রক্ষা করা যায়, কী করে গবাদি পশুগুলোতে রাখা যায় নিরাপদে৷ গত আশি বছরেও পাকিস্তানের মানুষ দেখেনি এমন ভয়াবহ অবস্থা৷

উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে বন্যার ভয়াবহতা সুনামির চেয়েও কোন অংশে কম হবে না বলেই মনে করছে জাতিসংঘ৷ আর তাই বিশ্বসম্প্রদায়ের প্রতি দ্রুত পাকিস্তানকে ত্রাণ সহায়তা পাঠাতে আহ্বান তাদের৷ জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সমন্বয়ক এলিজাবেথ বায়ার্স বলছেন যে তারা মানবিক সহায়তার দিকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন৷ পাকিস্তানের জন্য ত্রাণ হিসাবে কত অর্থ বা সামগ্রীর প্রয়োজন, সেই হিসাব কষতে আজই নিউইয়র্কে বসছেন জাতিসংঘ কর্মকর্তারা৷ সেই হিসাব প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছন বায়ার্স৷

এই বন্যা কেবল যে জানমালেরই ক্ষতি করছে, তাই নয়; একই সঙ্গে দেশের অর্থনীতির লাগামকেও টেনে ধরেছে৷ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের এমনটাই মত৷ আইএমএফের ভাষ্য, এ বন্যার পরিণতিতে বাজেটে দেখা দেবে বড় ধরনের ঘাটতি৷ পাকিস্তান যাবে আরও পেছনে৷

ভয়াবহ বন্যায় এরই মধ্যে কমপক্ষে ১ হাজার ৬শ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে৷ সরকারি এক তথ্য অনুযায়ী, ৬ লাখ ৫০ হাজার বাড়িঘর হয়েছে ধ্বংস হয়েছে৷ ৫ লাখ ৬৭ হাজার হেক্টর ফসলি জমি তলিয়ে গেছে পানির নিচে, পানির তোড়ে ভেসে গেছে ১০ হাজারেরও বেশি গবাদি পশু৷ তবে সমস্যা বর্তমানে যেমনটা হচ্ছে, আসছে শীত মৌসুমে তা হবে আরও বেশি৷ বানের পানিতে বেশিরভাগ ফসল ভেসে যাওয়ার কারণে শীত মৌসুমে পাকিস্তানের জনগণের খাদ্য সাহায্যের প্রয়োজন হবে বলেই মত আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলোর৷

পাকিস্তানের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের এক মুখ্যপাত্র জানিয়েছেন, দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে খারাপ আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার এবং ত্রাণ বিতরণের কাজে যতগুলো সরকারি হেলিকপ্টার ছিল তার সবকটাকেই ব্যবহার করা হচ্ছে৷ কিন্তু নানা প্রতিকূল প্রাকৃতিক সমস্যা জেঁকে ধরেছে খোদ উদ্ধারকারীদেরকেই৷ এর মধ্যে ভূমিধ্বস অন্যতম৷ ঠিক এই অবস্থায় বিদেশ সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরে আসছেন প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি৷ বন্যার মধ্যে তার ইউরোপ সফর নিয়ে দেশে সমালোচনা উঠেছিলো৷ অন্যদিকে, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে বসবাসকারী প্রবাসী পাকিস্তানি নাগরিকরা নিজেরাই অর্থ সংগ্রহ করে দেশে বন্যায় আক্রান্তদের জন্য পাঠাতে শুরু করেছেন৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ