গাড়িদৌড়
১৮ মার্চ ২০১২মেলবোর্নের এই গাড়িদৌড়ে কী জেতার স্বপ্ন দেখেছিলেন ফেটেল? এ প্রশ্ন প্রাসঙ্গিক, কারণ, ২০১০ সালে নিজের দুখানা রেডবুল খেতাব এখানেই জিতে নিয়েছিলেন ভেটেল৷ সুতরাং ব্রিটিশ বাটনের এই খেতাব জয় জার্মান ভেটেলের দৌড়কে কিছুটা নিষ্প্রভ করে দিয়ে গেল বৈকি!
জার্মান গাড়ি দৌড় চ্যাম্পিয়ন সেবাস্টিয়ান ফেটেলের এই পরাজয়ের পর কিছুটা ভিন্ন পরিস্থিতি তৈরি হলো, একথা বলার আগে বলে নেওয়া যাক, বাটনের প্রতিক্রিয়া৷ এই দৌড়ে একাধিক ঘটনা৷ বেশ কয়েকবার চাকা পাল্টানো, কয়েকটা ছোটখাটো ট্র্যাক সংক্রান্ত সমস্যা, আগেপিছে অনেক চাপ দৌড় চলাকালীন, তারপরেও নিজের স্নায়ুকে পুরোদস্তুর নিয়ন্ত্রণে রেখে জেনসন বাটন শেষ করেছেন একেবারে বিজয়ীর মতই৷ আর জয়ের পরেই টিম রেডিওতে তাঁর উচ্ছাস চাপা থাকেনি৷ যখন বলেছেন, ‘মরশুম শুরু করলাম দুরন্ত বিজয় দিয়ে৷ খুব খুশি আমি৷ গাড়িটা এত ভালো দৌড়েছে, যার তুলনা নেই৷'
এবারে শোনা যাক, বাটনের টিমমেট, ম্যাকলারেনের লিউইস হ্যামিলটনের প্রতিক্রিয়া৷ এই ম্যাচে হ্যামিলটন শেষ করেছেন তিন নম্বরে৷ কারণ দুই নম্বরটা দখলে রয়েছে সেবাস্টিয়ান ফেটেলের৷ আবার চার নম্বরে দৌড় শেষ করেছেন ফেটেলের রেড বুল টিমের সদস্য মার্ক ওয়েবার৷ তো, রেস শেষ করার পর হ্যামিলটনের প্রতিক্রিয়ার কথা হচ্ছিল, সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ‘আজ বাটনকে যেভাবে গাড়ি চালাতে দেখলাম, তাতে আমার দৃঢ় বিশ্বাস, ওর প্রতিপক্ষ কেউ নেই৷ ও এখন গাড়ি দৌড়ের দুনিয়ায় সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ৷'
শুধুই চ্যালেঞ্জ হলে মিটে যেত৷ অথচ দেখুন, হ্যামিলটনের ভাষায়, ‘কঠিন চ্যালেঞ্জ! ' বাটনের এই ১৩তম বিজয়ে তাই দৃশ্যতই বেশ মুষড়ে পড়েছে জার্মান শিবির৷ পড়ুন ফেটেলের শিবির৷ মরশুমের শুরুতেই অস্ট্রেলিয়ার এই গাড়িদৌড়টা জিতে নিয়ে সকলকে বেশ চমকে রাখবে বলে যে ভাবনা ভাবা হয়েছিল, বাটনের স্টিয়ারিং-এর মোচড় সেসবই উল্টেপাল্টে দিল৷
এখন আবার নতুন করে ঘুঁটি সাজাতে হবে ফেটেলকে৷ আগামীর প্রতিযোগিতাগুলোতে বাটনের সামনে চ্যালেঞ্জটাকে পাল্টে ফেলতে হবে তো! দেখা যাক, সেই লড়াইগুলো কেমন জমে!
প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা: জাহিদুল হক