1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকের শুটিং চলছে পুরোদমে

৯ মার্চ ২০২১

শ্যাম বেনেগালের পরিচালনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বায়োপিকের শুটিং চলছে মুম্বইয়ের ফিল্ম সিটিতে। নিখুঁতভাবে উঠে আসছে মুজিবের জীবনের নানা ঘটনা।

https://p.dw.com/p/3qNy0
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকের শুটিং চলছে মুম্বইতে। ছবি: Journey/M. Alam

ধানমন্ডির সেই বাড়ি। খাওয়ার টেবিলে শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭০-এর গোড়ার কথা। তাঁর স্ত্রী শেখ ফজিলাতুন্নেছা ভাত বেড়ে দিয়েছেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু খাচ্ছেন না। তাঁর মনখারাপ। তাঁর মনে পড়ে যাচ্ছে, ১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষের কথা। তাই তিনি উদাস।

মনিটরে চোখ রেখে বসেছিলেন পরিচালক শ্যাম বেনেগাল। ৮৬ বছরের তরুণ। চেঁচিয়ে বললেন, কাট। মুম্বইয়ের ফিল্ম সিটির সেটে এভাবেই উঠে আসছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের টুকরো ছবি। কখনো ধানমন্ডির বাড়ি, কখনো টুঙ্গিপাড়ার ঘাট, কখনো বা কলকাতার দৃশ্য।

শেখ মুজিবের জন্মশতবর্ষ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার পঞ্চাশতম বার্ষিকী উপলক্ষে ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে তৈরি হচ্ছে এই বায়োপিক। বাংলা ছাড়াও যা হিন্দি ও ইংরাজিতেও হবে। শুটিং শুরুর কথা ছিল অনেক আগে। কিন্তু বাদ সেধেছিল করোনা। পরিস্থিতি একটু ভাল হতেই পুরোদমে কাজ শুরু করে দিয়েছেন শ্যাম বেনেগাল।

কে বলবে তাঁর বয়স ৮৬ বছর। শুটিং ফ্লোরে আগের মতোই সক্রিয়। বেশ কয়েক ঘণ্টা সময় দিচ্ছেন। বিশাল সেটের প্রতিটি খুঁটিনাটি তাঁর নজরে। প্রচুর মানুষ কাজ করে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধুর শুটিং যাতে নিখুঁত হয় তা নিশ্চিত করতে। মুম্বইয়ে বঙ্গবন্ধুর জীবনের প্রথম দিকের ঘটনা এবং ঘরোয়া বিষয়গুলি ক্যামেরায় ধরে রাখতে চাইছেন তিনি।

তাঁর লক্ষ্য ২৬ মার্চের মধ্যে মুম্বইয়ে শুটিং শেষ করে ফেলা। কাকতালীয় হলেও, ওইদিনই করোনার পর প্রথমবার বিদেশ সফরে যাবেন নরেন্দ্র মোদী, সেটাও বাংলাদেশে। বেনেগাল জানিয়েছেন, যুদ্ধের দৃশ্য. জনসমাবেশের ছবি তোলা হবে বাংলাদেশে। সেখানকার কাজও যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং। শেখ মুজিবুর রহমান যে বিশাল ও ঐতিহাসিক জনসভাগুলি করেছেন, সেটা অত্যন্ত বিশ্বাসযোগ্যভাবে ছবিতে ফুটিয়ে তোলার কাজটা মোটেই সহজ নয়। তবে বেনেগাল এর আগে গান্ধী, সুভাষচন্দ্র, নেহরুকে নিয়ে সিনেমা করেছেন। তাই তাঁর কাছে প্রত্যাশাও অসীম।

বঙ্গবন্ধুর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন আরেফিন শুভ। মাসখানেক আগে ঠিক হয়েছে, তিনিই মূল চরিত্রে অভিনয় করবেন। তারপর থেকে তিনি শেখ মুজিবকে জানার, চেনার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। বলা যেতে পারে চরিত্রের মধ্যে ঢুকে পড়েছেন।

জিএইচ/এসজি(ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস)